খুলনা | বুধবার | ১৮ জুন ২০২৫ | ৪ আষাঢ় ১৪৩২

তালায় জালিয়াতি করে দেনমোহরের টাকা বৃদ্ধি প্রতারক ইউপি সদস্যসহ ৫ জন শ্রীঘরে

তালা প্রতিনিধি |
১১:৩৫ পি.এম | ১৫ জুন ২০২৫


জাল জালিয়াতি কাবিননামায় স্বাক্ষী থাকা ও তা ব্যবহারে সহযোগিতা করার অপরাধে তালার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও  ইউপি সদস্য মোঃ ইয়াছিন সরদারসহ ৫ জন শ্রী-ঘরে দিয়েছেন আদালত। রোববার সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৩ নং আদালতে সিআর-৪০৭/২৪ (তালা) নং মামলায় স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মাসুমা আক্তার ৪৬৫/৪৬৭/৪৬৮ ধারার শুনানি অন্তে আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সি ডব্লিউ মূলে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
আসামি ইউপি সদস্য মোঃ ইয়াছিন সরদার উপজেলার মুড়াকলিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক। মামলার অপর আসামিরা হলেন একই গ্রামের মৃত সামসুর সরদারের ছেলে মোঃ মোজাহার সরদার, আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে মোঃ রেজাউল সরদার ও মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সরদার এবং মেয়ে লাভলী খাতুন। মামলার বাদি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার জাহানপুর গ্রামের ছলিমুদ্দিন সরদারের ছেলে মোঃ আক্তারুল ইসলাম। মামলায় আসামি পক্ষে আদালতে জামিনের শুনানি করেন আইনজীবী বাসালাতুল­াহ আরঙ্গী বাবলা। বাদি পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন আইনজীবী এম হায়দার আলী ও মোঃ জুলফিকার আলী শেখ।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদীর সাথে ২৫ মার্চ ২০০৫ তারিখে ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক আসামি লাভলী খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সংসারে একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এভাবে চলাকালে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মান অভিমান হলেই লাভলী আক্তার সাতক্ষীরা আদালতে একাধিক মামলা করেন বাদির নামে। সর্বশেষ উভয়ের দাম্পত্য সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালীন গত ইং ২৫-০৩-২০১৮ তারিখ রেজিঃকৃত ৩ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে একটি নিকাহ নামার বরাত দিয়ে ২৯-০২ ২৪ তারিখে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত ২৫-০৩-১৮ তারিখের রেজিঃ কাবিননামা জালিয়াতি মর্মে তা চ্যালেঞ্জ করে মামলার বাদী আক্তারুল ইসলাম আমলী ৩ নং আদালত সাতক্ষীরায় গত ইং ১৯-১২-২৪ তারিখ সি আর -৪০৭/২৪ নং মামলা দায়ের করেন। মামলা দাখিলের পর আদালত মামলাটি নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই সাতক্ষীরা বরাবর নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্ত প্রতিবেদনের আর্জিতে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে মর্মে আসামিদের প্রতি সমন জারির আদেশ প্রদান করেন। উলে­খিত কাবিননামা জাল জালিয়াতি করা এবং তা ব্যবহার করা ও জালিয়াতি কাবিননামায় সাক্ষী থাকার অপরাধে আদালত আসামিদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ