খুলনা | শুক্রবার | ২০ জুন ২০২৫ | ৬ আষাঢ় ১৪৩২

আয়াতুল্লাহ খামেনির পরিণতি হতে পারে সাদ্দাম হোসেনের মতো, ইসরায়েলের হুমকি

খবর প্রতিবেদন |
০৬:৪৭ পি.এম | ১৭ জুন ২০২৫


মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরান। এই সংঘাতে প্রকাশ্যে এসেছে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা। এসময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইরাকের প্রয়াত স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের মতো পরিণতির মুখোমুখি হতে পারেন বলে মন্তব্য করছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়ে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ তেল আবিবে জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘আমি ইরানের এই একনায়ককে সতর্ক করছি— তিনি যেন যুদ্ধাপরাধ করা ও ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধ করেন।’

কাত্জ আরও বলেন, ‘তিনি যেন মনে রাখেন— ইরানের পাশের একটি দেশের একনায়ক যিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একই পথ বেছে নিয়েছিলেন, তার পরিণতি কী হয়েছিল।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ইরাকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। ১৯৮০ সালে তিনি ইরানে হামলা চালান এবং ১৯৯১ সালে ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেন। ইরান-ইরাক যুদ্ধ আট বছর পর এক ধরনের অমীমাংসিত সমাপ্তিতে পৌঁছে। আর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরাকের ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান চলে প্রায় এক মাস, যা ঘটেছিল প্রথম গালফ যুদ্ধ চলাকালে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইসরায়েল তখন পাল্টা হামলা চালায়নি।

২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী ইরাক আক্রমণ করলে সাদ্দাম হোসেন দ্রুত গ্রেফতার হন, বিচার হয় এবং তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

কাত্জের এ মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন সিএনএনকে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সম্প্রতি জানিয়েছেন, ইসরায়েলিদের কাছে খামেনিকে হত্যার সুযোগ ছিল, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ