ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২৪২ যাত্রীসহ লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার কিছু সময় পরই বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। আর সেই বিমানটি অহমেদাবাদের মেঘানি নগর এলাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলে ভেঙে পড়ে। এতে  সেখানে থাকা ৫০ ইন্টার্ন চিকিৎসকেরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাড়িটি কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, ওই হোস্টেলে প্রায় ৫০ জন ইন্টার্ন থাকতেন। দুর্ঘটনার সময়ে যারা সেখানে ছিলেন, সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রশাসনের বরাতে আনন্দবাজার জানায়, আহমেদাবাদের বিমানবন্দর থেকে উড়ানের পাঁচ মিনিট পরে আহমেদাবাদের মেঘানি নগর এলাকায় ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। যে ভবনে বিমানটি আছড়ে পড়েছে, সেখানে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা থাকতেন।

এয়ার ইন্ডিয়া পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদের বিমানবন্দরের ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড়েছিল। গন্তব্য ছিল লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক বিমানবন্দর। বিমানে যাত্রী ছিলেন ২৪২ জন।

এখন পর্যন্ত কত জনের মৃত্যু হয়েছে, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে তা প্রকাশ করেনি প্রশাসন। বিমানটি ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দরের কাছে লোকালয়ে। মনে করা হচ্ছে, যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানেও হতাহত হয়েছেন বহু মানুষ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘানি এলাকার যে বহুতলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে থাকেন সিভিল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তার পাশের একটি বিল্ডিংয়ে থাকেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা। তারা সকলেই আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। কত জন হতাহত হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। অসমর্থিত একটি সূত বলছে, ১৫ জন চিকিৎসক আহত হয়েছেন।

ঘটনার বেশকিছু ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে যার সত্যতা যাচাই করেনি বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। একটি ভিডিওর কথা উল্লেখ করে বলেছে, লোকালয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি। তার পরেই সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে। গলগল করে বার হতে থাকে কালো ধোঁয়া।

অন্য একটি ভিডিও দেখা গিয়েছে, একটি বহুতলের মধ্যে ভেঙে পড়েছে বিমানটি। বাড়িতে গেঁথে রয়েছে বিমানটির লেজ। ধুলোয় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বহুতল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হোস্টেল।

দুর্ঘটনার পরে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বিমানবন্দরটি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে শতাধিক অ্যাম্বুল্যান্স। গ্রিন করিডোর করে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় সিভিল হাসপাতালে। অনেকেরই দেহ ঝলসে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।