Shomoyer Khobor
খবর বিজ্ঞপ্তি | প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১৫:৩৪:০০
তিন শিক্ষককে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত ও অপসারণের প্রতিবাদে ১৮তম দিনের মতো আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে। প্রথমে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বর থেকে একটি মৌন মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের (রুটিন দায়িত্ব) সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের (রুটিন দায়িত্ব) সাক্ষাৎ পায়নি।
শিক্ষার্থীরা ফিরে এসে পুনরায় তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
শুরুতে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসাইন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানো কোনো অন্যায় নয় যে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। চাকরিচ্যুত করে তারা আবারও প্রমাণ করতে চায় যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ ন্যায় কথা বললে তাকে চরম মাশুল দিতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি, করবে ও না। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪৭জন শিক্ষার্থী এই অন্যায় চাকরিচ্যুতির নিন্দা প্রকাশ করে রায় জানিয়ে একটি পত্র প্রেরণ করেছে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, উপ-উপাচার্য ও উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) বরাবর।
এছাড়াও আরও বক্তৃতা করেন মোবারক হোসেন নোমান ও আশিক বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাবেক ভিসি ভবন নির্মাণ, নিয়োগ বানিজ্য ও যৌন নিপীড়নের মত দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকলেও তার কোনো বিচার হয়নি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সাথে সহমত পোষণ কারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। হাইকোর্ট চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের প্রতি যে স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন তা যেন মেনে নিয়ে অবিলম্বে বরখাস্তকৃত শিক্ষকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে এবং তাদেরকে স্বপদে সম্মানের সাথে পুনর্বহাল করেন। জনগনের করের টাকায় পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা অপচয় করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন আর কোনো অপ্রয়োজনীয় আপিল না করেন। যদি আপিল করেন তাহলে শিক্ষার্থীরা কঠোরভাবে তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত। সুতরাং আমার আশা করছি, প্রশাসনের সুবুদ্ধির উদয় হবে এবং আমাদের তিনজন শিক্ষককে আমরা আমাদের মাঝে ফিরে পাবো।