খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১০ অক্টোবর ২০২৪ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩১

ব্যাংকে নেই ভ্রমণকরের রসিদ চেকপোস্টে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

বেনাপোল প্রতিনিধি |
০৪:১৭ পি.এম | ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪


বেনাপোল স্থলবন্দরের চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংক বুথে ভ্রমণকরের রসিদ (ট্যাক্স টোকেন) না থাকায় ভারত ভ্রমণে যাওয়া যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। রোববার সকালে চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংক বুথ থেকে কোনও যাত্রী ভ্রমণকরের ট্যাক্স কাটতে পারেননি। পরে অনলাইনের ব্যবস্থা চালু করলেও একেকটি রসিদ কাটতে দীর্ঘ সময় লাগছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা।
সরেজমিন বুথের মধ্যে চারটি ডেস্কের দু’টিতে অনলাইনে ভ্রমণকর কাটতে দেখা গেলেও একেকটি ভ্রমণকর দিতে ২-৩ মিনিট সময় লাগছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। ভুক্তভোগী যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ভ্রমণকরের রসিদ তো আর একদিনে শেষ হয়ে যায়নি। আগে থেকে রসিদ বই ছাপানো উচিত ছিল। সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের দেশের অন্য কোনও সোনালী ব্যাংক কিংবা অনলাইনে ভ্রমণকর পরিশোধ করে তারপর বর্ডারে আসার কথা বললে আজকে এই শীতের সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করা লাগতো না।
ঢাকার যাত্রী মাসুদ রানা বলেন, ‘ভারতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রোববার ভোর ৫টা থেকে ভ্রমণকর দেওয়ার জন্য বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সোনালী ব্যাংক বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভোর ৬টা ২৫ মিনিটের সময় ব্যাংকের লোকজন জানান ভ্রমণকরের রসিদ শেষ। অনলাইনে দিতে হবে, সময় লাগবে। তখন ভ্রমণের আনন্দটাই নষ্ট হয়ে গেলো।’
রয়েল কোচ পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার মুকুল হোসেন বলেন, ‘ঢাকা থেকে আমার পরিবহনের দু’টি গাড়িতে ৫২ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য আসে। তাদের সহযোগিতা করার জন্য পরিবহনের লোকজন ব্যাংকে গেলে ভ্রমণকর কাটতে না পেরে ফিরে আসে। পরে বাইরে থেকে ওই যাত্রীদের অনলাইনে ভ্রমণকর দিয়ে ২ ঘণ্টা পর তাদের ভারতে পাঠানো হয়।’
বেনাপোল চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংকের ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, ‘হঠাৎ করে ব্যাংকে ভ্রমণকরের রসিদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানিয়েছিলাম। রসিদ বই ছাপানোর কাজ চলমান রয়েছে বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন।’
 

্রিন্ট

আরও সংবদ