খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

মিয়ানমার থেকে অস্ত্রসহ পালিয়ে আসা ২২ রোহিঙ্গা রিমান্ডে

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩০ এ.এম | ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪


মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় পালিয়ে আসা আটক ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে ২২ জনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মোঃ সাদেক নামের একজন রোহিঙ্গা অসুস্থ থাকায় তার রিমান্ডের অনুমতি দেননি বিচারক।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা শুনানি শেষে প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২৩ রোহিঙ্গা হলেন উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের কবির আহমদের ছেলে মোঃ হোসেন আহমদ (৩০), একই ক্যাম্পের মোঃ ইউনুসের ছেলে মোঃ রফিক (২৩), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আয়াতুল­াহ (৩০), ৯ নম্বর ক্যাম্পের মোঃ রফিকের ছেলে মোঃ জুনাইদ (১৯), একই ক্যাম্পের নুর কালামের ছেলে মোঃ হারুন (২৩), সমসের আলমের ছেলে মোঃ কায়সার (১৯), রশিদ আহমেদের ছেলে মোঃ সাবের (১৯), ১০ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল­াহর ছেলে ওসামা (১৯), একই ক্যাম্পের জাফর আলমের ছেলে ওমর ফারুক (১৯), মোঃ তোহার ছেলে মোঃ সাদেক (১৯), মকবুল আহমদের ছেলে হারুন অর রশিদ (২৪), হামিদ হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১৯), দিল মোহাম্মদের ছেলে মোঃ ইসমাইল (১৯), মোঃ হোসেনের ছেলে মোঃ রহিম (১৯), ১১ নম্বর ক্যাম্পের আতা উল­াহর ছেলে নজু মোল­া (৩৮), ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মোঃ সৈয়দের ছেলে সৈয়দ উল­াহ (১৯), একই ক্যাম্পের দিল মোহাম্মদের ছেলে হাফেজ আহমেদ (১৯), ২০ নম্বর ক্যাম্পের মোঃ রশিদের ছেলে মোঃ জোবায়ের (১৯), কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের ইউসুফের ছেলে আব্দুল­াহ (২০), একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হাসেমের ছেলে এনামুল হাসান (২২), ২ নম্বর ক্যাম্পের ইমাম হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক (২৪), একই ক্যাম্পের আবুল কালামের ছেলে সৈয়দুল ইসলাম (২৪) ও ৭ নম্বর ক্যাম্পের মোঃ জলিলের ছেলে মোঃ আরমান (২১)।
উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে ৬ ফেব্র“য়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালীর রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন ২৩ রোহিঙ্গা। স্থানীয়রা তাদের আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়। পরে ৯ ফেব্র“য়ারি বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করে ১২টি অস্ত্রসহ তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় উদ্ধার ১২টি অস্ত্রের মধ্যে পাঁচটি এসএমজি (সাবমেশিন গান), একটি জি-৩ রাইফেল, দুইটি পিস্তল ও চারটি রিভলভার রয়েছে। এছাড়া রয়েছে এসএমজি গুলি ১৯৮ রাউন্ড, এমজি গুলি ৯৮ রাউন্ড, রাইফেলের গুলি ২৭৬ রাউন্ড, জি-৩ রাইফেলের গুলি ১০৩ রাউন্ড, পিস্তলের গুলি ১৯৩ রাউন্ড, পিস্তলের খালি কার্তুজ ২৫ রাউন্ড, রাইফেলের গ্রেনেড ফিউজ ৫ রাউন্ড, এসএমজি ম্যাগজিন ছয়টি, এলএমজি ম্যাগজিন চারটি, জি-৩ ম্যাগাজিন একটি, পিস্তল ম্যাগজিন দু’টি।
বিজিবির করা মামলায় শনিবার (১০ ফেব্র“য়ারি) কক্সবাজারের সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৬ এর বিচারক ফাহমিদা সাত্তার এর আদালতে ২৩ রোহিঙ্গাকে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক ফাহমিদা সাত্তার আবেদন আমলে নিয়ে রোববার (১১ ফেব্র“য়ারি) শুনানির দিন ঠিক করেন। তবে রোববারের রিমান্ড শুনানি সোমবার (১২ ফেব্র“য়ারি) কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা এর আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
পরিদর্শক নাছির উদ্দিন বলেন, গ্রেফতার ২৩ রোহিঙ্গার সবাই উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে কীভাবে মিয়ানমারে গিয়েছে এবং তাদের হাতে অস্ত্র কেন? এসব তথ্য বের করার চেষ্টা করা হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ