খুলনা | রবিবার | ২৯ জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

সাতক্ষীরায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার দাম বেড়েছে সব ধরনের পোশাকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
০১:২৬ এ.এম | ২৮ মার্চ ২০২৪


সাতক্ষীরা শহরের অধিকাংশ বিপণিবিতান গুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। নিজেদের পছেন্দের পোশাক কিনতে এদোকান থেকে ও দোকানে ঘুরছেন ক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের পোশাকের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে সাধ্যের সাথে তাল মিলিয়ে পছন্দের পোশাক কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারিতেই পোশাকের দাম বেড়েছে ৩০-৩৫ শতাংশ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে শহরের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
নারী-শিশুসহ সকল শ্রেণির ক্রেতাদের পদচারণায় সকাল থেকে গভীর রাত অবধি মুখরিত থাকছে শহরের সিট কাপড়, তৈরি পোশাক ও জুতার দোকান গুলোতে। পিছিয়ে নেই শপিং কমপ্লেক্স ও ও ফুটপথের দোকান গুলোও। তবে বাচ্চাদের পোশাক ও জুতার দোকনে সবচেয়ে বেশি ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। অভিভাবকদের হাত ধরে ঈদের নতুন পোশাক কিনতে দোকানে দোকানে ঘুরছে শিশুরা। নারী ও শিশুদের পোশাক বিক্রিতে এগিয়ে রয়েছে শহরের থানা সড়কের রনি-বনি হার্কস মার্কেট, মেহেরুন প্লাজা, সিটি মার্কেট, ইসলামী ব্যবসায়ী সমিতির মার্কেটসহ ফুট পথের দোকনগুলো।
অপর দিকে পুরুষদের পোশাক বিক্রিতে এগিয়ে আছে আল বারাক শপিং সেন্টারের প্রিয় গোপাল বস্ত্র বিপনী, বসুন্ধরা টাওয়ার, বাজার কোলকাতা, আমিনিয়া মার্কেট ও মেহেরুন প্লাজার দোকন গুলো। এসব দোকান ও বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে গত বছরের তুলনায় প্রতিটি পোশাকের দাশ অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় সাধ্যের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের পছেন্দের পোশাক কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, এবার ঈদের বাজারে সব জিনিসের দাম প্রায় দেড় থেকে দুইগুন বেড়েছে। নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে কেনাকাটা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। 
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজার সড়কের রাজধানী শপিং সেন্টারে ঈদের পোশাক কিনতে এসেছেন কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর নলতা গ্রামের কলেজছাত্রী রেশমা খাতুন। তিনি জানান, ২ হাজার ৮০০ টাকা দামে একটি জর্জেট থ্রি-পিস কিনেছেন। গত রমজানে একই ধরনের থ্রি-পিস কিনেছিলেন ১ হাজার ৭০০ টাকায়।
শহরের পাওয়ার হাউজ সড়কের বসুন্ধরা মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন বৈকারী গ্রামের গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম। নিজের ও ছেলে মেয়ের জন্য ঈদের জামা কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েকটি মার্কেটে ঘুরেছেন। কিন্তু অধিকাংশ মার্কেটে তৈরি পোশাক ও শাড়ির দাম নাগালের বাইরে। পরে ছয় বছরের ছেলের জন্য ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে শার্ট ও প্যান্ট কিনেছেন। আর ছোট মেয়ের জন্য ৯০০ টাকা দিয়ে একটি থ্রি-পিস কিনেছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই দামটা অনেক বেশি বলে মনে করেন মনোয়ারা বেগম। 
এদিকে শহরের জুতার দোকানগুলোয়ও উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। বাাঁ, লটো, লিবার্টি ও সম্রাটসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা কিনতে দোকানগুলোয় ভিড় করছেন ক্রেতারা। শহরের পাকা পুলের সামনে নিউ সু-তে আসা ক্রেতা ইলিয়াস হোসেন জানান, দেশে চামড়ার দাম কম। অথচ জুতার দাম কমে না। ঈদ উপলক্ষে চামড়ার স্যান্ডেলসহ সব ধরনের জুতার দাম বেশি। প্রকার ভেদে স্যান্ডেল ৯০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং সু  এক হাজার ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবার ঈদের কেনাবেচা খুবই ভালো যাচ্ছে। ক্রেতারা ভিড় ও ঝামেলা এড়াতে এবার রমজানের শুরু থেকেই ঈদের কেনাকাটা করছেন। সাতক্ষীরা শহরের রাজধানী শপিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী হাজী তরিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বাবুগঞ্জসহ অন্যান্য পাইকারি মার্কেটে শাড়ি, থ্রি-পিস ও ছেলেদের সব ধরনের পোশাকের দাম বেড়েছে। প্রকার ভেদে প্রতিটি পোশাকে গত বছরের তুলনায় ৩০-৩৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা মার্কেটগুলোয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ