খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জিমেইলের যে ৫টি ‘লুকানো’ ফিচার সম্পর্কে না জানলেই নয়

খবর প্রতিবেদন |
০৪:০১ পি.এম | ৩১ মার্চ ২০২৪


পেশাগত বা ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিনিয়ত জিমেইল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইমেইল কম্পোজ, আদান–প্রদানের মতো বিভিন্ন কাজে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করা হয়। তবে এই জিমেইলে কয়েকটি ফিচার রয়েছে যেগুলো জিমেইল ব্যবহারকে আরও সহজ ও সাবলীল করে তুলবে। জিমেইলের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার সম্পর্কে সবারই জানা উচিত।

ফিচারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হল—

১. লেবেলস 
জিমেইলে অনেক ইমেইলের মধ্যে প্রয়োজনীয় ইমেইল খুঁজে পেতে লেবেল ফিচারটি ব্যবহার করা যেতে পারে। লেবেল ফিচার ব্যবহার করলে প্রয়োজনীয় ইমেইল খোঁজার জন্য দীর্ঘক্ষণ স্ক্রল করতে হবে না। এই ফিচারের মাধ্যমে নিদির্ষ্ট গ্রাহক, প্রকল্প ও ক্যাটাগরির জন্য কাস্টম লেবেল তৈরি করা যায়। যেমন: ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রাহক’, ‘ভ্রমনের পরিকল্পনা’ ও ‘জরুরী’ ইত্যাদি পছন্দের নামে লেবেলগুলো তৈরি করা যায়। নিদির্ষ্ট লেবেলে ট্যাপ করলে সেই লেবেলের অর্ন্তভুক্ত ইমেইলগুলোই দেখা যাবে। নির্দিষ্ট ইমেইলটি নির্বাচন করে বা প্রবেশ করলে ওপরে ফোল্ডার আইকনের পাশে লেবেল অপশন পাওয়া যাবে। সেইখান থেকে পছন্দের লেবেল নির্বাচন করা যাবে বা নতুন লেবেল তৈরি করা যাবে।

২. স্নুজ ফর লেটার 
কোনো প্রয়োজনীয় ইমেইল অসুবিধাজনক সময়ে এলে তা অনেক সময়ে পড়া হয় না। পরে পড়ার জন্য ইমেইলটি রেখে দিলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জিমেইলের স্নুজ বাটনটি ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ইমেইলটি ইনবক্সের সবচেয়ে ওপরে দেখা যাবে। কয়দিন, কয় সপ্তাহ বা কতক্ষণ ইনবক্সের সব ইমেইলের ওপরে ইমেইলটি থাকবে তা ব্যবহারকারীর স্নুজ অপশনটির মাধ্যমে নির্ধারণ করতে পারবে।

৩. স্মার্ট কম্পোজ 
ইমেইলে কি লিখবেন তা বুঝতে না পারলে ব্যবহারকারীরা ‘স্মার্ট কম্পোজ’ অপশন ব্যবহার করতে পারেন। এই এআইভিত্তিক অপশন ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকরণ বা বানান ভুল করার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে ফিচারটি জিমেইল অ্যাকাউন্টের সেটিংস থেকে চালু করতে হবে।

৪. আনডু সেন্ড 
কোনো ইমেইলের বিষয়বস্তু ভালো মতো চেক না করেই ভুলক্রমে পাঠিয়ে দিলে তা ব্যবহারকারীর জন্য বিব্রতকর হতে পারে। এ ছাড়া ভুল ইমেইল পেশাগত জীবনে নেতিবাচক সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে জিমেইলের ‘আনডু বাটন’ ব্যবহার করা যায়। ফলে মেসেজটি প্রাপকের কাছে পৌঁছাবে না। তবে আনডু বাটনটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্যাপ করতে হবে।

৫. কনফিডেনশিয়াল মোড 
ইমেইলের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য কনফিডেনশিয়াল মোড ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মোড ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীরা কোনো ইমেইলের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারবে। সেই সময়সীমা পার হলেই ইমেইলটি কিছু সময় পর নিজেই নিজেই ডিলিট হয়ে যাবে। ফিচারটি চালু থাকলে প্রাপকটি ইমেইলটি ফরোয়ার্ড, কপি, ডাউনলোড বা প্রিন্ট করতে পারবে না। ফলে সংবেদনশীল ইমেইলের গোপনীয়তা নিশ্চিত হবে। 
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

্রিন্ট

আরও সংবদ