খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

শবে কদরের ফজিলত

মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে |
০১:১৩ এ.এম | ০৬ এপ্রিল ২০২৪


আজ ২৬শে রমজান। আজকের রাত পবিত্র কদরের রাত। এক হাদিসে আছে এই রাতে সকলকে সাধারণ ক্ষমা করে দেয়া হয়। শুধুমাত্র চার শ্রেণির মানুষকে ক্ষমা করা হয় না। এক. মদ পানকারী, দুই. পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, তিন. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী এবং চার. বিদ্বেষ পোষণকারী। এই রাত সীমাহীন বরকতময়। শবে কদরের রাত্রে হযরত জীব্রাঈল (আঃ) ফেরেশতাদের একটি জামাতের সাথে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং এমন প্রত্যেক বান্দার জন্য রহমতের দোয়া করেন যে দাঁড়িয়ে অথবা বসে আল­াহর জিকির করে বা ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত থাকে (মেশকাত, বায়হাকী শো’আবুল ঈমান)। এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে আল­াহ তায়ালা এরশাদ করেন, নিশ্চয় আমি কদরের রাত্রিতে এই কুরআন নাজিল করেছি। আপনি জানেন কি কদরের রাত্রি কি? কদরের রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। এই রাতে নাজিল হয় ফেরেশতাগণ এবং জীব্রাঈল (আঃ) তাদের পরওয়ারদিগারের আদেশে সর্ববিধ শান্তি ও কল্যাণ সহকারে। উহা বিরাজ করে ফজর পর্যন্ত (সূরা কদর)। হাদিসে এসেছে যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রি ইবাদতে কাটাবে তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ মাফ করা হবে (বুখারী, মুসলিম)। যে ব্যক্তি কদরের রাত হতে বঞ্চিত থেকে গেল সে যেন সমস্ত কল্যাণ হতেই বঞ্চিত হল (তারগীব: ইবনে মাজাহ)। রাসূলে কারীম (সঃ) রমজানের শেষ দশকে ইবাদতের পরিমাণ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতেন। এক হাদিসে হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমরা শবে কদর তালাশ করিবে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিতে (বুখারী)। কিন্তু শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে ২৭ রমজানের রাতের কথা হাদিসে বিশেষভাবে উলে­খ থাকার কারণে এই রাতকেই (২৬ শে রমজান দিবাগত রাত) কদরের রাত হিসাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমান পালন করে থাকেন। বিশিষ্ট সাহাবী উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) শপথ করে বলেন যে, শবে কদর ২৭ শে রমজানের রাতেই (মেশকাত: মুসলিম)। হযরত আয়েশা (রাঃ) হুজুর (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলুল­াহ! আমি যদি শবে কদর পাই তাহলে কি দোয়া করব? হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেন, এই দোয়া করিও, আল­াহুম্মা ইন্নাকা আ’ফুউউন তুহিব্বুল আ’ফওয়া ফা’আফু আ’ন্নী। অর্থাৎ হে আল­াহ! আপনি বড় ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাসেন। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দেন (মেশকাত: তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, আহমাদ)। তবে শুধু এই দোয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে বান্দা তার প্রয়োজন মাফিক যে কোন দোয়া করতে পারেন। 
লেখক : আরবী সাহিত্যিক ও মুহাদ্দিস, জামি’য়া ইসলামিয়া মারকাযুল উলূম, বাগমারা, খুলনা।

্রিন্ট

আরও সংবদ