খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

শেষ দশকে অসংখ্য মানুষের মুক্তি

মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে |
০১:২৫ এ.এম | ০৭ এপ্রিল ২০২৪


আজ ২৭ রমজান। অশেষ পূণ্যের আধার মহিমান্বিত মাহে রমজানের নাজাতের দশকও চলে যাচ্ছে। এখন আমাদের হিসাব মিলানো দরকার এবং অতীত গোনাহের জন্য মাফ চাওয়া উচিত। মহিমান্বিত এই মাস যে বার্তা আমাদের কাছে পেশ করেছিল তার কতটুকু আমাদের জিন্দেগীতে প্রতিফলিত হল? রোযার সমস্ত আহকাম কি আমরা ঠিকমত আদায় করতে পেরেছি? সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর দেরী না করে এখনই আমাদের ভুল-ত্র“টির জন্য মহান আল­াহর কাছে চোখের পানি ফেলে মাফ চাওয়া উচিৎ। আমরা জানিনা এই রমজান আবার জীবনে পাবো কি না। জানিনা মহান রবক্ষুল আলামীন আমাদের রোজা, তারাবি, দান-সদকা কবুল করেছেন কিনা। পরীক্ষার খাতায় ভুল করে উল্টা-পাল্টা লিখলে, তা আর শুধরানোর কোন উপায় থাকে থাকে না। কিন্তু সমস্ত আমল উল্টা-পাল্টা করেও আমরা যদি পরম করুণাময় আল­াহর কাছে ভুল স্বীকার করে মাফ চাই তাহলে আল­াহ আমাদেরকে ইনশাআল­াহ মাফ করে দিবেন। কারণ তিনি তো কারও কাছে জবাবদিহী করবেন না। কেউ তাকে বলার নেই যে, কেন অমুক ব্যক্তিকে মাফ করে দেয়া হলো। রোজার শেষ দিনগুলোকে সুযোগ মনে করে মহান আল­াহর কাছে তওবা, এস্তেগফার করা চাই। এখন আমাদের উচিৎ বেশী বেশী তওবা, এস্তেগফার এবং কান্নাকাটি করে আল­াহর দরবারে ক্ষমা চাওয়া দরকার। তাছাড়া হাদিসে এসেছে, রমজানের শেষ দশকে জাহান্নাম থেকে বিপুল সংখ্যক কয়েদীকে নাজাত দেয়া হয়। এক হাদিসে হুজুর (সাঃ) বলেন, রমজানের প্রতি দিবারাতে জাহান্নামের কয়েদীদেরকে মুক্তি দেয়া হয় এবং প্রতি দিবারাতে মুসলমানের একটি দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয় (তারগীব)। আর এক হাদিসের অংশ বিশেষে প্রিয় নবী কারিম (সাঃ) এরশাদ করেন, আল­াহ তায়ালা রমজান মাসে ইফতারের সময় এমন দশ লাখ লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দান করেন যাদের ওপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিল। এরপর যখন রমজানের দেশ দিন আসে তখন পহেলা রমজান থেকে শেষ পর্যন্ত যত লোককে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়া হয়েছে তার সমসংখ্যক লোককে একদিনে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়া হয় (তারগীব: বায়হাকি)। তাই আসুন, আমরা নিজ পাপের জন্য অনুশোচনা করি এবং ভবিষ্যতে পাপ না করার ওয়াদা করি।  
লেখক : আরবী সাহিত্যিক ও মুহাদ্দিস, জামি’য়া ইসলামিয়া মারকাযুল উলূম, বাগমারা, খুলনা।

্রিন্ট

আরও সংবদ