খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

চাঁদ দেখেই ঈদ করা সুন্নত

মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে |
০১:০৯ এ.এম | ০৮ এপ্রিল ২০২৪


আজ ২৮ রমজান। আর এক দুই দিন পরই ঈদ। রোজা রাখা, ভাঙা এবং ঈদ উদযাপন করা সবই চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। চাঁদ দেখার চেষ্টা করাও নবীজীর একটি সুন্নত। এতেও ছওয়াব পাওয়া যাবে। পবিত্র কুরআনে চাঁদকে একটি ঝুলন্ত ক্যালেন্ডার এবং আল্লাহ তায়ালার কুদরতের নিদর্শন হিসেবে উলে­খ করা হয়েছে। চাঁদ দেখা মাত্রই একজন মুমিন ব্যক্তির মহান স্রষ্টার কথা স্মরণে আসে। রোজা রাখা ও ভাঙ্গার ব্যাপারে হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ এবং চাঁদ দেখে রোজা ভাঙ্গ  (মেশকাত: মুসলিম)। ঈদের চাঁদ দেখার ব্যাপারে নবী করীম (সাঃ)-এর নির্দেশ হল, যদি মেঘের কারণে চাঁদ দেখা না যায় তাহলে রোজা ৩০ টি পূর্ণ কর (সহীহ মুসলিম)। চাঁদ দেখার জন্য কোন দূরবীক্ষণ যন্ত্র অথবা হেলিকপ্টারের সহায়তা নেওয়াও সমীচিন নয়। কারণ এটি বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য যে, যদি বিমান বা কোন নভোযানের সাহায্যে অনেক উপরে উঠা যায় তাহলে দেখা যাবে যে সূর্য অথবা চাঁদ কখনই ডুবছে না। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে রাত দিনেরও কোন হদিস পাওয়া যাবে না। এইজন্য চাঁদ খালি চোখেই দেখতে হবে। আর খালি চোখে দেখা  চাঁদই আমাদের জন্য প্রযোজ্য। নিজ চোখে চাঁদ দেখার চেষ্টা করাও নবীজির একটি সুন্নত। এটি একটি অত্যন্ত সহজ হিসাব এবং সকলের জন্য এটাই সুবিধাজনক। এর ভিতরে কোন জটিলতা নেই।  একটি দেশের মধ্যে যদি কোন এক জায়গায় চাঁদ দেখা যায় তাহলে তা সেই দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে।  তবে হাদিসে বর্ণিত আছে যে, এক দেশের চাঁদ অন্য দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না (সহীহ  মুসলিম)। উদাহরণস্বরুপ, সৌদি আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের  চাঁদ আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না। ইসলাম অত্যন্ত সহজ একটি ধর্ম। চাঁদ  দিগন্তে থাকুক বা না থাকুক, যদি মেঘের কারণে বা অন্য কোন কারণে চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ৩০ টি রোজা পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং হিসাব অত্যন্ত সহজ ও পরিস্কার। নতুন চাঁদ দেখে আল্লাহর রসুল (সাঃ) আমাদের  এই দোয়া পড়ার কথা বলেছেন, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমা-নি ওয়াছ ছালামাতি ওয়াল ইসলামী, রব্বী ওয়া রব্বুকাল্লাহ; হিলা-লু রুশদি ওয়া খইর। অর্থঃ হে আল্লাহ, এই চাঁদকে আমাদের ওপর উদিত কর নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে। হে চাঁদ তোমার ও আমার প্রভু একমাত্র আল্লাহ (তিরমিজী)। 
লেখক : আরবী সাহিত্যিক ও মুহাদ্দিস, জামি’য়া ইসলামিয়া মারকাযুল উলূম, বাগমারা, খুলনা।

্রিন্ট

আরও সংবদ