খুলনা | রবিবার | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নড়াইলের সাবেক সংসদ সদস্য এড. মকবুল আর নেই, এলাকায় শোকের ছায়া

নড়াইল প্রতিনিধি |
০৩:৫২ পি.এম | ২১ এপ্রিল ২০২৪


নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এড. মকবুল হোসেনকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বিদায় জানিয়েছেন নড়াইল ও লোহাগড়াবাসী।
মিষ্টভাষী, সদা হাস্যজ্জ্বল, বিনয়ী মকবুল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিকসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে দ্রুত ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল­াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...আমরা তো আল­াহর এবং আমরা আল­াহর কাছেই ফিরে যাবো)। মৃত্যুকালে মরহুমের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি এক পুত্র এবং তিন কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রোববার সকাল ৯টায় নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে প্রয়াত মকবুল হোসেনের প্রথম দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১০টায় লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মরহুমের দ্বিতীয় দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 
জানাজায় নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নড়াইল জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, লোহাগড়া পৌর সভার সাবেক মেয়র এড. নেওয়াজ আহম্মে ঠাকুর নজরুল, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস, এম, হায়াতুজ্জামানসহ এলাকায় সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 
বাদজোহর মরহুমের জন্মভূমি লোহাগড়ার মরিচপাশা গ্রামে তৃতীয় দফা নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জীবনী : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের মরিচপাশা গ্রামের এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে মকবুল হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়ার সময়ে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেন। পড়ালেখা শেষে তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত হন। আইন পেশায় সুনাম অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে ব্রতী হন। লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নড়াইল-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে তিনি নড়াইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের। সভাপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি লোহাগড়ার ঐতিহ্যবাহী রাম-নারায়ন পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ