খুলনা | মঙ্গলবার | ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪১ এ.এম | ২৪ এপ্রিল ২০২৪

 
ফিলিস্তিনপন্থী এবং ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের ভূমিকার সমালোচনা করে স¤প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তাতে এখন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও অংশ নিচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, এমআইট, টাফটস ইউনিভার্সিটি, ইমারসন কলেজসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু টাঙ্গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
কোনও কোনও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ‘নদী থেকে সাগর পর্যন্ত’ সাইনও দেখা যায়। উল্লেখ্য, এ দিয়ে ফিলিস্তিনিরা জর্ডান নদী থেকে সাগর পর্যন্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বুঝিয়ে থাকে।
এমআইটিতে বিক্ষোভকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতির আহŸান জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতার সমালোচনা করে। তারা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাথে এমআইটির সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও জানায়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে এবং লস অ্যাঞ্জেলসের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁবু খাঁটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
সবচেয়ে তীব্র বিক্ষোভ হচ্ছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বানার্ড কলেজের সাথে সম্পর্কিত প্রখ্যাত রাব্বি ইলি বুচলার ‘চরম সেমিটিজম বিরোধিতার’ কারণে ইহুদি শিক্ষার্থীদেরকে বাড়িতে অবস্থান করার আহŸান জানিয়েছেন।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোমবার ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ নিয়েছেন। এভাবে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভের পর নিউইয়র্ক সিটি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার এক বিবৃতিতে কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনুচে শফিক বলেন, স¤প্রতি ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া ইহুদিবিদ্বেষী ভাষা, ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বাতিল করছে।
শফিক বলেন, এসব উত্তেজনা কলাম্বিয়ার সাথে যুক্ত নয় এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে এবং যারা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা পূরণ করতে ক্যাম্পাসে এসেছেন তাদের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়েছে এবং বৃদ্ধি পেয়েছে। 
সূত্র: আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল, ভয়েস অব আমেরিকা।

্রিন্ট

আরও সংবদ