খুলনা | রবিবার | ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৬ কার্তিক ১৪৩১

তীব্র গরমে শরীরকে শীতল রাখতে গ্রহণ করুণ স্বাস্থ্যকর পানীয়

পুষ্টিবিদ রাদিয়া আলম রুদি |
০১:২৬ এ.এম | ০৪ মে ২০২৪


তীব্র তাপদাহে বিভিন্ন ধরনের পানীয় পান করলে শরীর সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকে এবং গরমও কিছুটা কম অনুভুত হয়। কিন্তু আমাদেরকে কারবোনেটেড সফট ড্রিংক্স কোলা এবং বিভিন্ন সুগারি ড্রিংকস পরিহার করতে হবে যেহেতু এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমাদেরকে ন্যাচারাল সোর্স থেকে ফ্রেশ এবং স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণ করতে হবে। যেগুলো গ্রহণ  করলে গরম কমাতে ও হেলথকে নারচার রাখতে সাহায্য করবে। 
গরমে যেসব পানীয় শরীরকে শীতল করে :  

১) তেঁতুল গুড়ের শরবত: ১ কাপ খেজুরের গুড়, কাঁচা মরিচ কুচি, বিট লবণ, তেঁতুল, বরফ কুচি পানির সাথে মিশিয়ে সহজেই এটি প্রস্তুত করা যায়। 
*বাইরের গরম থেকে এসে বা বাইরে বের হওয়ার আগে এই শরবত খেলে শরীর অনেকক্ষণ ঠান্ডা থাকবে।
* প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোক এড়াতে তেঁতুল বেশ উপকারি। প্রচন্ড গরমে দেহকে শীতল রাখতে তেঁতুলের জুড়ি মেলা ভার। ২০০ মিলি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম তেঁতুল ভিজিয়ে খেলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো যায়। এছাড়া তেঁতুলে থাকা অ্যান্টি এক্সিডেন্ট সূর্যের প্রখর তাপ থেকে আমাদের শরীরে উৎপন্ন হওয়া ফ্রি রেডিকেল গুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে। এই গরমের তাপে শরীরে টক্সিসিটি বেড়ে যেতে পারে, গুড় শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। গুড়ের পানি শরীরের ইলেক্ট্রলাইট এবং তাপমাত্রার ব্যালেন্স রক্ষা করে।
২) তরমুজ, পুদিনা পাতার রস, লেবুর রস, গুড়ের মিশ্রণ : তরমুজ এর টুকরো, পুদিনা পাতার রস, গুড়, লেবুর রস, বরফ কুচি  মিশিয়ে এই পানীর টি প্রস্তুত করা যায়। 
* পুদিনা পাতা শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের প্রায় ৯৬ শতাংশই পানি। এই গরমে তরমুজ ডিহাইড্রেশন দূর করে, কারণ তরমুজে প্রচুর পানি থাকে। এই পানীয় পানে শরীর গরম এবং পানি শুন্যতা থেকে ইন্সটেন্ট রিলিফ পায়। 
৩) টক দই ও গুড়ের লাচ্ছি : ১ গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ টক দই এবং পরিমাণ মতো গুড় এবং বরফ কুচি দিয়ে মিশিয়ে ঠান্ডা পানীয় তৈরি করে খাওয়া যায়।   
* এই পানীয় গরমে ইন্সটেন্ট রিলিফ এনে দেবে বেশ কিছুক্ষণের জন্য। দই অনেক ভালো প্রোবায়োটিক এবং গরমে আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পেট খারাপ, বদ হজম প্রভৃতি সমস্যার ঝুঁকি কমায় এবং এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোপারটি আছে, যেটা শরীরের মধ্যে প্রখর তাপে প্রডিউস হওয়া ফ্রি রেডিকেল গুলোকে নিউট্রালাইজ করতে হেল্প করে।
৪) কাঁচা আমের জুস : এটি ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। ভীষণ রিফ্রেশিং। পুদিনা পাতা,  মরিচের গুঁড়ো আর গুড় যোগ করলে এর স্বাদ এবং পুষ্টিমান আরও বেড়ে যায়।  এটি যেমন মুখরোচক তেমনি শরীরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।
৫) ডাবের পানি : গরমের দিনে শরীরকে শীতল রাখতে এবং পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ডাবের পানি এবং এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই তীব্র গরমের ক্ষতিকর দিক থেকে শরীরকে রক্ষা করতে ডাবের পানির জুড়ি নেই।
৬) বেলের শরবত : তীব্র গরমে  বেলের শরবত নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে দেহ প্রাণবন্ত হয়। এটি গ্রহণ করলে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ করে তোলে। 
* পেটের নানা রোগেও এটি খুব কাজে দেয়। ফাইবার থাকায় গরমে কন্সটিপেশনের সমস্যা দূর করতে পারে। বেলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রোপার্টি আছে। এটি ভিটামিনস এবং মিনারেলস এর অনেক ভালো উৎস।
লেখক : বিএসসি (সম্মান), এমএসসি, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ও বিশেষ প্রশিক্ষণ,  ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন এন্ড ডায়েটেটিকস ( বিএডিএন)।

্রিন্ট

আরও সংবদ