কোন মিটিং, সভা সেমিনার কিংবা ছিল না কোন মতবিনিময়। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আকস্মিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান। তিনি রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কাউকে না জানিয়েই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হন এবং একটানা তিনি দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। 
একজন সংসদ সদস্যকে এভাবে আকস্মিক হাসপাতালে দেখে বিষ্মিত হন সবাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়ে যান। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, হাসপাতালের সমস্যা এবং চিকিৎসা সেবার মান নিজ চোখে দেখতে এমন আকস্মিক পরিদর্শন করেন তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রিয় নেতা সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান। আকস্মিক পরিদর্শন করেই প্রথমেই তিনি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে কথা বলে তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এরপর তিনি প্রসূতি বিভাগে ভর্তিকৃত রোগীদের সাথে কথা বলে তাদের এবং তাদের নবজাতক শিশুদের ও গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। পরবর্তীতে তিনি জরুরি এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা কোন মানুষ হয়রানী কিংবা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কি না সে ব্যাপারে হাসপাতালে আসা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন। চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন করার পর তিনি অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগ পরিদর্শন করেন। এছাড়া হাসপাতালের প্রতিটি বাথরুমসহ হাসপাতালের বিভিন্ন দিক ঘুরে ঘুরে দেখেন। রোগীদের পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী, স্বাস্থ্যকর্মী নার্স ও চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে হাসপাতালের সমস্যা এবং করণীয় সম্পর্কে ধারণা নেন। এরপর তিনি হাসপাতালের রোগীদের মাঝে মানসম্মত খাবার সরবরাহ হচ্ছে কি না সেটি নিশ্চিত হতে কিচেন পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা থেকে এলাকার কোন মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যয়বহুল চিকিৎসাকে নিরুৎসাহিত করতে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি, দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ করা, নরমাল ডেলিভারী নিশ্চিত করা, প্যাথলজি বিভাগ স্বচল রাখা ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারিভাবে মানসম্মত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।  সংসদ সদস্যের এমন আকস্মিক পরিদর্শনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী ডাঃ সুজন কুমার সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সঞ্জয় কুমার মন্ডল, ডাঃ জহুরুল হক, ডাঃ ফরহাদ হোসেন, যুবলীগনেতা পরেশ মন্ডল, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মৃণাল কান্তি বাছাড়, ছাত্রলীগ নেতা রিপন রায়, আবির আক্তার আকাশ, রাকিব ও রাফেজ।