খুলনা | রবিবার | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ১ লাখ ৭৩ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত

খবর প্রতিবেদন |
০২:১২ এ.এম | ৩১ মে ২০২৪


ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাত ও অতিবৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের করা ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, ৪৮টি জেলার কৃষিতে রেমালের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩ জেলা। রেমালের আঘাতে ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির। এ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯১ জন।
বৃহস্পতিবার কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৪৮টি জেলার কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে। উলে­খযোগ্যহারে আক্রান্ত হয়েছে উপক‚লীয় বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলা (বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা) এবং খুলনা অঞ্চলের ৪ জেলা (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল), চট্টগ্রাম অঞ্চলের নোয়াখালী, ল²ীপুর, কক্সবাজার। বর্তমানে মাঠে দন্ডায়মান ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৫ হেক্টর এবং আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর। আউশ বীজতলা ১০ হাজার ৮৪৩ হেক্টর, ২১ হাজার ৪৩৪ হেক্টর আউশের জমি, বোরো ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির ধান, বোনা আমন ৪ হাজার ৮২৬ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন সবজি ৫২ হাজার ১৯০ হেক্টর, পাট ২৯ হাজার ৭৪৯ হেক্টর, তিল ৭ হাজার ৫৩৬ হেক্টর, মুগ ৩ হাজার ৫০৭ হেক্টর, মরিচ ২ হাজার ৪৪৪ হেক্টর দুর্যোগ কবলিত হয়েছে। ৭ হাজার ৫৮ হেক্টর জমির পান দুর্যোগ কবলিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফলের মধ্যে আম ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর, লিচু ১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর, কলা ৭ হাজার ৬১৩ হেক্টরসহ মোট ১৭ হাজার ৫৪৩ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফল দুর্যোগ কবলিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বরিশাল অঞ্চলের আউশ বীজতলা ৯ হাজার ১০১ হেক্টর, আউশ ১৭ হাজার ৯০ হেক্টর, মুগ ২ হাজার ৪১৯ হেক্টর, শাকসবজি ১৭ হাজার ২৪৭ হেক্টর, পান ৩ হাজার ৪৭৩ হেক্টরসহ মোট ৫৪ হাজার ৫৬৪ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের জমি আক্রান্ত হয়েছে। যার প্রাথমিক আনুমানিক ক্ষতির মূল্য ৫০ হাজার ৮৯৭ লাখ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯১ জন। বরিশাল অঞ্চলের ন্যায় অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিবেদনে উলে­খ করা হয়, মাঠে কিছু ভুট্টা, চীনাবাদাম ছাড়া অন্য রবিশস্য না থাকায় কৃষি বিরাট ক্ষতির হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছে। আসন্ন আমনের জন্যও এ বৃষ্টি সুফল বয়ে আনবে। জমির চাষাবাদ উপযোগী অবস্থা বিশেষ করে খরাপ্রবণ এলাকার জন্য বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। যা বিভিন্ন সবজি ও ফলফলাদির জন্য ভূমিকা পালন করবে। বৃষ্টি বন্ধ হলে এবং সাত আট দিন পর ক্ষতির মাত্রাটা প্রকৃতপক্ষে বোধগম্য হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ