খুলনা | রবিবার | ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৬ কার্তিক ১৪৩১

হজের খুতবা বাংলা অনুবাদ করবেন চার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী

খবর প্রতিবেদন |
০২:৫০ পি.এম | ০৪ জুন ২০২৪


প্রতি বছরের মতো এবারো বাংলাসহ ২০টিরও বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা। মূল খুতবার সঙ্গে সেই অনুবাদও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এ বছর হজের মূল খুতবা আরবিতে প্রদান করবেন মসজিদুল হারামে ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি। তার প্রদত্ত সেই খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন সৌদি আরবে অধ্যয়নরত চার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। তারা দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।

তাঁরা হলেন মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী ও মুবিনুর রহমান ফারুক এবং জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুস সাকিব। গত বছরও তাঁরা আরাফার খুতবার অনুবাদ কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন।

ড. খলীলুর রহমান গত বছর উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বাড়ি কুমিল্লার শাসনগাছায়। সৌদি আরবে যাওয়ার আগে এক বছর তিনি নওগাঁ কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস ছিলেন।

তিনি জানান, ২০২৩ সালে অনুবাদ প্রকল্প সম্প্রসারণ হলে এতে সপ্তাহিক জুমার খুতবা যুক্ত হয়। জুমার পাশাপাশি ঈদ, হজ, ইস্তিসকা, বিভিন্ন দরস, বই-পুস্তক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হারামাইনের বিভিন্ন পোস্টের অনুবাদ কার্যক্রম শুরু হয়।

ড. খলীলুর রহমান গত বছর মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিগগিরই তাঁর স্ত্রীও পিএইচডি সম্পন্ন করবেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার শাসনগাছায়।

১৯৯২ সালে তিনি ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে কামিল বিভাগে দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন। সৌদি আরবে যাওয়ার আগে এক বছর তিনি নওগাঁ কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কীর মাধ্যমে ২০২০ সালে হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ শুরু হয়। তা ছাড়া তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের জুমার খুতবা অনুবাদ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার জেলার রামুতে।

বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক হিসেবে অধ্যয়নরত। ১৯৯৮ সালে তিনি তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল ও মাদরাসা-ই-আলিয়া থেকে তাফসির বিভাগে কামিল ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক ছিলেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন হাজিদের সবাই আরাফা প্রাঙ্গণে অবস্থান করবেন। সেদিন ২০ লাখেরও বেশি হাজির উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। বিশ্বের ৩০ কোটির বেশি মানুষের কাছে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বাণী পৌঁছে দিতে ২০টি ভাষায় খুতবা সম্প্রচার করা হবে।

গত ১৪৩৬ হিজরি মোতাবেক ২০১৫ সালে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি ভাষায় আরাফার খুতবা অনুবাদ প্রকল্প যাত্রা শুরু হয়। ২০২০ সালে বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ করা হয়। ২০২২ সালে ১৪টি ভাষায় এবং ২০২৩ সালে ২০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। 

্রিন্ট

আরও সংবদ