নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা মুছে ফেলায় বাংলাদেশ একটি ‘একদলীয়’ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশে আর কোনো রাজনীতি অবশিষ্ট নেই।

রাজধানী ঢাকায় নিজের অফিসে বসে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গত সপ্তাহে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারটি মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রকৃত রাজনৈতিক বিরোধীদের ঘাটতি রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো রাজনীতি অবশিষ্ট নেই। এখানে কেবল একটি দলই সক্রিয় এবং তারাই সবকিছুই দখল করেছে। তারা সবকিছু করছে, তাদের পথেই নির্বাচন করছে।

ড. ইউনূস আরও বলেন, তারা নিজেদের লোকদেরকে বিভিন্ন রূপে নির্বাচিত করছে— উপযুক্ত প্রার্থী, ডামি প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর এসবই একই দলের।

তবে ড. ইউনূসের মন্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। টেলিফোনে রয়টার্সকে আনিসুল হক বলেন, কেবল আমিই নই বরং দেশের জনগণও তার মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই মন্তব্যকে দেশের জনগণের জন্য ‘অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই দেশে গণতন্ত্র পুরোপুরি সচল রয়েছে।

ইউনূস প্রশ্ন তুলে বলেন, একজন নাগরিকের রাজনৈতিক দল করার চেষ্টা করা কি অপরাধ? রাজনীতির জন্য উপযুক্ত নন বুঝতে পেরে মাত্র ১০ সপ্তাহ পর দল গঠনের চিন্তা-ভাবনা বাদ দেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শান্তিতে এই নোবেলজয়ী বলেন, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক আবহ পুনরায় জাগিয়ে তোলা কঠিন হবে। রাজনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করাটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক হবে। কারণ আমরা এটাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে এসেছি, যেখানে এটা পুরোপুরি হারিয়ে গেছে।