খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

মহানগর শাখায় সাধারণ সম্পাদকই কর্মসূচিতে সরব

‘অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব’ পারিবারিক কারণ দেখিয়ে জেলা যুবদল সভাপতির অব্যহতিপত্র কেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:৫৩ এ.এম | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

সংগঠন গোছাতে ও কর্মসূচি পালনে নিজস্ব মতের অবমুল্যায়ন, দলের মধ্যে জুনিয়র কর্তৃক অবজ্ঞা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন নেতার অযাচিত হস্তক্ষেপে খুলনা জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। ক্ষোভে ক্ষুব্ধ জেলা যুবদলের সভাপতি সংগঠন থেকে অব্যহতি পেতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বরাবর আবেদন করেছেন। যদিও গত ১০ এপ্রিল দৈনিক ‘মানবকণ্ঠ’ পত্রিকায় ‘খুলনা বিভাগ যুবদলে কমিটি বাণিজ্য’ শিরোনামেসহ জাতীয় পত্রিকায় আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) অব্যহতিপত্রে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জঠিলতায় দায়িত্ব পালনে নিজেকে ব্যর্থ হিসেবে দাবি করেছেন জেলা যুবদলের সভাপতি এসএম শামীম কবির। আজ বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শীর্ষ একাধিক নেতা তার পত্র প্রাপ্তির খবরটি নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, খুলনা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরের সাথে সংগঠনটির সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারুর দুরত্ব যোজন-যোজন। সাগরের নেতৃত্বে নগর যুবদলের সরব কর্মসূচি নিয়মিত পালিত হলেও সংগঠন নিজস্ব ব্যানারে দৃশ্যমান নেই পিয়ারু।

দলীয় সূত্রমতে, ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল জেলা যুবদলে এসএম শামিম কবীরকে সভাপতি, ইবাদুল হক রুবায়েতকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। ওই আংশিক কমিটিতে সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হেল কাফি সখা, নাদিমুজ্জামান জনি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং জাবির আলীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। পরে এ কমিটির পূর্ণতা পেলেও ঐক্য ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। সাংগঠনিক সম্পাদক জাবির আলী জেলা বিএনপির সাথে থাকলেও অন্যদের সাথে বেড়ে যায় দুরত্ব। একপর্যায়ে জেলা যুবদলের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে মনোস্তাতিক দুরত্বের সৃষ্টি হয়। ইউনিট কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় মতনৈক্য, দলীয় কর্মসূচি পালনে নিজস্ব মতের অবমুল্যায়ন, দলের মধ্যে জুনিয়র কর্তৃক অবজ্ঞা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন নেতার অযাচিত হস্তক্ষেপে জেলা যুবদলের সভাপতি এসএম শামীম কবির শেষপর্যন্ত পদ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মন্তব্য।

অব্যহতি সম্পর্কে জানতে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলার সভাপতি এসএম শামীম কবিরকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। যুবদলের সভাপতির পদ পাওয়ার আগে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত্ব, এরআগে জেলা যুবদলের সর্বশেষ কমিটি গঠন হয়েছিল ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর। ওই কমিটিতে মনিরুজ্জামান মন্টুকে সভাপতি এবং মনিরুল হাসান বাপ্পি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু কমিটি গঠনের মাত্র এক বছরের মাথায় ২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র থেকে কমিটি ভেঙে দেয় কেন্দ্র।

অন্যদিকে, খুলনা মহানগর যুবদলের সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যকার দুরত্ব দৃশ্যমান। নগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু বিএনপির একাংশের সাথের কর্মসূচিতে অংশ নিলেও মহানগর যুবদলের কর্মসূচিতে উপস্থিতি নেই তার। যদিও এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে নারাজ নেতাকর্মীরা।

নগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারুকে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি তিনি।

আর নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

্রিন্ট

আরও সংবদ