খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

ডুমুরিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান রবি হত্যায় তারা বিশ্বাস পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:০২ পি.এম | ০৯ জুলাই ২০২৪


খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ইউপি চেযারম্যান রবিউল ইসলাম রবি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও পরাজিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগার আলী তারা বিশ্বাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী তার রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী জানান, দুপুরে পুলিশ শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি হত্যা মামলায় গ্রেফতার আজগার আলী তারা বিশ্বাসকে অতিরিক্ত জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত শুনানি শেষে তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবর রহমান, অ্যাডভোকেট রজব আলী সরদার, অ্যাডভোকেট তারিক মাহমুদ তারা।

এর আগে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর রায়েরমহল মোস্তফার মোড় এলাকার বিশ্বাস প্রোপার্টিজের কার্যালয় থেকে তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে। আটকের পর তিন ঘন্টাব্যাপী তল্লাশী অভিযানে তারা বিশ্বাসের মালিকানাধীন বিশ্বাস প্রোপার্টিজের কার্যালয় থেকে একটি শর্টগান, একটি খেলনা পিস্তল, একটি রিভলবার সদৃশ লাইটার, ৫৭ রাউন্ড কার্তজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করা হয়।

পুলিশের সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান রবি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর রায়ের মহলের মোস্তফার মোড় এলাকায় বিশ্বাস প্রোপার্টিজের অফিসে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় জেলা আ’লীগের সদস্য আজগর আলী বিশ্বাস ওরফে তারা বিশ্বাসকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে।

এর আগে গত রোববার দিবাগত রাতে নিহতের স্ত্রী শায়লা ইরিন বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত পৌঁনে ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামকস্থানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ রবিউল ইসলাম রবি (৪৬) নিহত হন। ওইদিন তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা আ’লীগের বর্ধিত সভা শেষে মোটরসাইকেলে একা খুলনার নিরালা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামক স্থানে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে পেছন দিক থেকে বেশ কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার পিঠে পাঁচটি গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনে পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সোয়া ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ