অবশেষে এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, ভারতের পুরুষ সিনিয়র দলের প্রধান কোচ হলেন গৌতম গম্ভীর। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলা এবং সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের উত্তরসূরি হচ্ছেন তিনি।
আগে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা নেই গম্ভীরের। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সসহ একাধিক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মেন্টর ছিলেন তিনি। স¤প্রতি তার হাত ধরে ১০ বছর পর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় সাবেক ওপেনার।
জয় শাহ এক্স-এ লিখেছেন, ‘অনেক আনন্দের সঙ্গে আমি ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন প্রধান কোচ হিসেবে মিস্টার গৌতম গম্ভীরকে স্বাগত জানাচ্ছি। আধুনিক দিনের ক্রিকেট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, গৌতম এই পরিবর্তন খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তার ক্যারিয়ারে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে, আমি বিশ্বাস করি ভারতীয় ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিতে গৌতম আদর্শ।’
বিসিসিআই কর্মকর্তা আরও লিখেছেন, ‘টিম ইন্ডিয়ার জন্য তার স্পষ্ট ভিশন, বিশাল অভিজ্ঞতার কারণে তাকে এই রোমাঞ্চকর ও সবচেয়ে আকাক্সিক্ষত কোচিংয়ের ভূমিকায় সঠিক ব্যক্তি হিসেবে বসিয়েছে। তার এই নতুন যাত্রায় বিসিসিআই পূর্ণ সমর্থন করে।’
গত মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দ্রাবিড় সরে দাঁড়ান। শোনা যাচ্ছে, তিনি গম্ভীরের ছেড়ে আসা কলকাতার মেন্টরের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
গম্ভীরের প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট সাদা বলের শ্রীলঙ্কা সফর। এই মাসের শেষ দিকে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। 
গম্ভীরের সঙ্গে বিসিসিআই কত বছরের চুক্তি করেছে সেটা জানায়নি। তবে কোচের আবেদনপত্র চাওয়ার আগে তারা জানায়, জুলাই থেকে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে নতুন কোচকে, মানে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০২৩ সালের নভেম্বরে কলকাতায় যোগ দেওয়ার আগে গম্ভীর লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর ছিলেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালে তার সময়ে দু’টো আসরেই প্লে অফ খেলে দলটি।
তবে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে এটাই হতে যাচ্ছে গম্ভীরের প্রথম কোচ হওয়ার অভিজ্ঞতা। খেলোয়াড় হিসেবে তার অর্জন ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ বিশ্বকাপ। দু’টো টুর্নামেন্টের ফাইনালেই দেশের সেরা স্কোরার ছিলেন। ২০১২ ও ২০১৪ সালে তার নেতৃত্বেই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা।