খুলনা | শুক্রবার | ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১ ফাল্গুন ১৪৩১

সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৮ এ.এম | ২৬ জুলাই ২০২৪


সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। সরকারি চাকুরির কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশে সংঘর্ষের সময় তিনি গুলিতে নিহত হন।
গত বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে নিহতের ভাই আবুল হাসান মোঃ আজরফ (জাবুর আহমদ) বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন। তবে পুলিশ সেটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হিসেবে নিয়েছে। অভিযোগপত্রে ৮-১০ অজ্ঞাত পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। 
বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মঈন উদ্দিন শিপন বলেন, সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেটির তদন্ত চলছে। বুধবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগটি আমরা রেখেছি এবং জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া পরিবারের লিখিত অভিযোগ এবং পুলিশের মামলা একই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে উলে­খ করা হয়, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য মহানগরীর বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছিলেন তুরাব। এক পর্যায়ে বিএনপি মিছিল শুরু করলে তিনি মিছিলের পেছনে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নেন। মিছিলটি পুরান লেন গলির মুখে পৌঁছালে সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা বিপরীত দিকে অবস্থান নেন। সে সময় হঠাৎ লাগাতার গুলির শব্দ শোনা যায় এবং তুরাব চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন সহকর্মী ও পথচারীরা তাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মহানগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে তিনি মারা যান।
গোলাগুলির স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্র সেখানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে বলে আবুল হাসান অভিযোগপত্রে উলে­খ এবং অজ্ঞাত ৮-১০ জন পুলিশকে অভিযুক্ত করেছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ