খুলনা | রবিবার | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩১ ভাদ্র ১৪৩১

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান, দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি

|
১২:০৯ এ.এম | ০৬ অগাস্ট ২০২৪


শত জীবনের প্রাণের বিনিময়ে গতকাল সোমবার পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। সোমবার দুপুরে একটি হেলিকপ্টার যোগে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা। এরপর সারা দেশে ছাত্র-জনতা আনন্দ উচ্ছ¡াসে মেতে ওঠে। কিন্তু সেই সুযোগে কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ বিভিন্ন স্থানে লুটপাট ও ভাঙচুরে মেতে ওঠে। তারা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন স্থানে। অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সেনাপ্রধান সব দায়িত্ব নিয়েছেন এবং বিচারের আশ্বাস দিলেও স্বার্থান্বেষী মহল ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানে কলুষিত করার চেষ্টায় লিপ্ত। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সামনে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। কেননা, সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জনতার ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে এবং জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। তাই বিশ্বাসযোগ্য কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ফিরাতে হবে শান্তি, বন্ধ করতে হবে লুটপাট। 
এদিকে কোনও ধরণের স্থাপনা ও জানমালের ক্ষতি না করতে আহŸান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেউ যেন লুটপাটের সুযোগ না পায়, তা নিশ্চিত করতে ছাত্র-জনতার প্রতি আহŸান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। রাজপথে অবস্থান নেওয়া ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে লুটপাটকারীদের রুখে দেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন তিনি।
অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতাকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে অবস্থানের আহŸান জানান নাহিদ ইসলাম।
লুটপাটকারীদের রুখে দেওয়ার আহŸান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। এই সুযোগে কেউ যেন লুটপাটের সুযোগ না পায়। তিনি যথার্থ বলেছেন।
অপর সমন্বয়ক সারজিস আলম, দেশ ও দেশের মানুষের সম্পদ রক্ষার আহŸান জানিয়েছেন। এ স্বাধীনতা বাংলাদেশের মানুষের। এই মুহূর্ত থেকে দেশ ও দেশের মানুষের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। তিনি বলেন, এ স্বাধীনতা বাংলাদেশের মানুষের। এই মুহূর্ত থেকে দেশ ও দেশের মানুষের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। কারণ এসব আমাদের। এসব আমাদের প্রাণের বাংলাদেশের।
বর্তমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া সেনাপ্রধান ও দুই সমন্বয়কের সুরে আমরাও চাই, এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা যেন এই মহান বিজয়কে যেন কলুষিত করতে না পারে। এ জন্য অন্যান্য সকল রাজনীতিবিদ, নাগরিক ও সামজিক নেতৃবৃন্দদের এগিয়ে আসার বিকল্প নেই।

্রিন্ট

আরও সংবদ