খুলনা | বুধবার | ২১ মে ২০২৫ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহত ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রকাশ অধিকারের

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৪ এ.এম | ২০ অগাস্ট ২০২৪


মানবাধিকার সংগঠন অধিকার ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৫ এবং ৬ মে ২০১৩ ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক বিচার বহির্ভূত ভাবে নিহত ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করছে। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অধিকারের পেইজ থেকে উক্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
পোস্টে বলা হয় : ২০১৩ সালে অধিকার নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সেই নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের একটি তথ্যানুসন্ধান মিশন পরিচালনা করে এবং ৬১ জন নিহত উলে­খ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার অধিকার-এর তৎকালীন সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং সংগঠনের বর্তমান পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০০৯) এর ৫৭ ধারায় মামলা করে।
পোস্টে আরও বলা হয় : ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৩ সাল থেকে অধিকার এবং এর নেতৃবৃন্দের ওপর নিপীড়ন, নজরদারি, কর্তৃপক্ষের দ্বারা হয়রানি এবং সরকারপন্থী মিডিয়া দ্বারা নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে দমন-পীড়ন শুরু করে। এক দশকেরও বেশি সময় বিচারিক হয়রানির পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ রায় ঘোষণা করেন এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের একটি সত্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আইসিটি আইনের অধীনে আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে ১০,০০০ টাকা জরিমানাসহ দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩১ দিন বন্দি থাকার পর সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ এমদাদুল হক আজাদ তাঁদের উভয়ের জামিন মঞ্জুর করলে গত ১৫ অক্টোবর ২০২৩ দু’জনেই কারাগার থেকে মুক্তি পান।
অধিকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ৫ ও ৬ মে ২০১৩ সালে সংঘটিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহŸান জানায় অধিকার।

্রিন্ট

আরও সংবদ