আগস্ট অভ্যুত্থানের এক মাস ও শহিদদের স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত ‘শহীদি মার্চ’ শেষে পাঁচ দফা ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে দফাগুলো ঘোষণা করেন অন্যতম সমম্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এমন দেশ তৈরি করতে চায়, যেখানে নতুন কোনো স্বৈরাচার তৈরি হবে না। ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায় শিক্ষার্থীরা। তাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই শেষ হয়ে যায়নি।  
শিক্ষার্থীদের দফাগুলো হলো গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে; শহিদ পরিবারদের আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করতে হবে; প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অনতি বিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে; গণভবনকে জুলাই স্মৃতি যাদুঘর ঘোষণা করতে হবে; রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে। 
সমম্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সে রক্ত এবং স্পিরিট বৃথা যেতে দেব না। এখনো অনেক ফ্যাসিস্টদের অস্তিত্ব রয়েছে, আমরা ফ্যাসিস্টদের এবং ফ্যাসিবাদী চিন্তা লালন করা মানুষদের বলতে চাই, এ স্বাধীন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আচরণ করার চেষ্টা করবেন না। কোনো চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট এ বাংলাদেশে হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের যে ভাইয়েরা এ স্বাধীনতা আনতে রক্ত দিয়েছেন, আমরা তাদের রক্তের মূল্য দিতে যেকোনো সময় নিজেদের রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।