খুলনা | রবিবার | ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

মামলা করবেন হিরো আলম

খবর বিনোদন |
০১:২৩ পি.এম | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪


বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল আদালত প্রাঙ্গণে কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলমকে (হিরো আলম) কান ধরিয়ে উঠ-বস এবং মারধর করা হয়েছে। বিএনপির লোকজন তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এবার জানালেন শুধু বিএনপি না, আওয়ামী লীগও জড়িত তার ওপর হামলার ঘটোনায়। সেইসঙ্গে আলম জানান হামলার ঘটনায় শিগগিরই মামলা করবেন তিনি।

হিরো আলম বলেন, ‘আমার ওপর যারা হামলা করেছে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা গেছে। সব মিলিয়ে আটজন এই হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও আওয়ামী লীগের লোকজন ছিল। তারা হলো রনি, নাজমুল শামীম নুরুনবী। এর মধ্যে রনি, নাজমুল বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। নুরুনবী আওয়ামী লীগের। আওয়ামী-বিএনপি মিলেই আমাকে মারধর করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) বগুড়া জেলা বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাতে তারা বলেছে আমি ভিউ বাড়ার জন্য নাটক করেছি। ইউটিউবে বিজনেজ করার জন্য নাটক করেছি। এই বক্তব্যের কারণে আমি তাদের ধিক্কার জানাই।’

আরও বলেন, ‘আমি জেলা বিএনপির সভাপতি বাদশা ভাই, বিএনপির হেনা ভাইকে শ্রদ্ধা করি। বিএনপিকে ভালোবাসি। আমি রাজনীতি করে ভাইরাল হইনি, নাটক-সিনেমায় ভাইরাল হয়েছি।’

হিরো আলম বলেন, ‘একজন আরেকজনকে উসকে দিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। দুটি কারণে আদালত চত্বরে আমাকে মারধর করা হয়েছে। একটি হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে ও আরেকটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায়। রবিবার দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা আমাকে মারধর করেছে।’

হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা করা হবে উল্লেখ করে  আলম বলেন, ‘হাসিনা সরকার পতনের সময় আমি সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন করেছি। তার পরও আমার ওপর হামলা করা হলো। আমার ইমেজকে নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।’

বর্তমানে হিরো আলম বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি। 

্রিন্ট

আরও সংবদ