খুলনা | শনিবার | ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

অর্থনীতিতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে

|
১২:২৪ এ.এম | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪


দেশের অর্থনীতিতে সংকট কেটে নতুন বার্তাবরণ খুলে যাচ্ছে। গত আগস্টে ৩০ কোটি ডলার বেশী এসেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই আন্তর্জাতিক মুদ্রা ৩২ তহবিলের (আই এম এক) সাথে বৈঠকে তিন বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে ঋণ সহযোগিতার যে প্রস্তাব দিয়েছে, আশার কথা হল আন্তর্জাতিক সংস্থাটি তাতে সায় দিয়েছে। উন্নয়ন সহযোগিদের বড় ফ্যাক্টর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সরকারের সাথে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানী তেল সরবরাহকারী মুসলিম দেশ সৌদি আরব, কাতার, আমিরাতের সঙ্গেও বর্তমান সরকার আলোচনা শুরু করেছে। আমদানি-রফতানি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্বহালে পাকিস্তানের সাথেও বৈঠক করেছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়ার সময় এ সব দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সংগে প্রধান উপদেষ্ট ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা চূড়ান্ত বৈঠক করবেন। আগামী বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের সাথে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়বে এবং নতুন বিনিয়োগ ও সহযোগিতা চুক্তি হবে।
হালে অর্থপাচার বন্ধ এবং ডলারের যোগান বাড়তে শুরু করায় গত এক দশকে ভুগতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটতে শুরু করেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্র্থনীতিতে প্রাণসঞ্চার করতে শুরু করছে। গত বছরে দেশের অর্থনীতিতে ২২ থেকে ২৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে প্রবাসীদের মাধ্যমে। প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক দিক হল এর বিপরীতে কোনো পয়সা ব্যয় হয় না। কিন্তু রফতানি আয় দেশে আনতে বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের মোট আয়ের অর্ধেকের বেশী খরচ হয়ে যায় কাঁচামাল আমদানিতে। তার পরেও অর্থনীতিতে একটা বড় শক্তি প্রবাসী আয়।
বস্তুতঃ নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। প্রবাসীরা বুঝেছে আর লুটপাট বা অর্থপাচার হবে না। দেশে অর্থ পাঠানো তাদের কাছে এখন নিরাপদ।  তার প্রমাণ মিলেছে গত আগস্ট মাসে জুলাই থেকে ৩০ কোটি ডলার বেশী এসেছে।
আই এম এফ এর প্রতিনিধি দল ঢাকাতে আসছে। আমাদের প্রত্যাশা ডিসেম্বরে ঋণ অনুমোদন হলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে যাবে। তখন আমদানি দায় মেটাতে চার মাসের বেশি সক্ষমতায় যাবে বাংলাদেশ।

্রিন্ট

আরও সংবদ