খুলনা | শনিবার | ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

উৎপাদন কমায় লোড শেডিং বাড়ছে, ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

|
১২:১৭ এ.এম | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪


দেশে এত বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকা সত্তে¡ও লোড শেডিং দিন দিন বাড়ছে। জ¦ালানি নিশ্চিত না করেই বিগত সরকার একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এতে বছরে কয়েক মাস কেন্দ্রগুলো অলস পড়ে থাকলেও ভাড়া যোগাতে হয় সরকারকে। খরচ সামলাতে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়াতে হয়েছে। বিগত তিন বছর ধরে এই হাল। গরম বাড়ার সাথে সাথে লোড শেডিংয়ে ভুগতে হচ্ছে মানুষকে।
বস্তুত: বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য পর্যাপ্ত জ¦ালানি নেই। সূত্রমতে গত সোমবারই গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশী লোড শেডিং করতে হয়েছে। রাজধানীর বাইরে গ্রামাঞ্চলের মানুষ ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। অথচ এখন উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৭৯১ মেগাওয়াট, আর চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কম।
সূত্রমতে দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) ওয়েব সাইটের তথ্য সূত্র বলছে, ৯ সেপ্টেম্বর ১৮৭৪ মেগাওয়াট লোড শেডিং হয়। আর রোববারে গড়ে ১২৯১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোড শেডিং হয়। মেরামতের জন্যই ৩ হাজার ৫৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বেশী কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ আছে। বিদ্যুৎ এ প্রতিদিন ৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেয়া হচ্ছে, যা এপ্রিলে ছিল ১৩৫ কোটি ঘনফুট। বিগত সরকারের আমলে জ¦ালানি খাতের বড় সুবিধাভোগী ছিল সামিট গ্র“প। এ গ্র“পটির এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ। গ্যাসের সরবরাহ কমেছে।
সিলেট বিভাগের পরিস্থিতি বেশি খারাপ। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ এর কোঠায় উঠা নামা করার ফলে কয়েক দিন সেখানে বইছে মৃদু তাপ প্রবাহ। সিলেট বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদের জানিয়েছেন চাহিদার তুলনায় সিলেট অর্ধেকও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। সিলেটের বিবিয়ানাসহ সবকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ২২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যাচ্ছে। সিলেট চেম্বারের সাবেক প্রশাসক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রয়োজন ৩০০ থেকে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অথচ আমরা তা পাচ্ছি না।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে প্রকাশ তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের একটি টার্মিনাল সামিটের মালিকানাধীন যা তিন মাস ধরে বন্ধ। গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে হাজার মেগাওয়াট সরবরাহ কমেছে। বিল বকেয়া থাকায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ কমেছে ৫০০ মেগাওয়াট। এতে বড় সংকট তৈরি হয়েছে। ত্রিপুরা থেকে ঘণ্টায় ১৬০ মেগাওয়াটের স্থানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৬০ মেগাওয়াট। ভারতের সরকারি বেসরকারি খাত থেকে ভেড়ামারা দিয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার জায়গায় আসছে কম।
ডেসকোর তথ্য মতে পরিস্থিতি সামলাতে অঞ্চলভেদে ৩ থেকে ৪ বার লোড শেডিং করতে হয়। বিদ্যুৎ বিক্রয় বাবদ বকেয়া অর্থ আদায়ে সরকারকে আদানি গ্রপের পাওনা ৫ কোটি ডলারের তাগাদা দিচ্ছে। বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি সহসা উন্নতি হবে না। সরকারের দরকার সাধু সতর্কের।

্রিন্ট

আরও সংবদ