খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণে মানববন্ধনে নাগরিক নেতৃবৃন্দ

সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার দুর্নীতিবাজ সাইফুলকে জেলা প্রশাসক পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবি

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:০৮ এ.এম | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪


খুলনার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলেন অভিযোগ করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, ১৯৯৮ সালে থেকে টানা ৪ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি বাহাদুর বেপারীর একান্ত সহযোগী ও পোষ্য ক্যাডার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাস ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌলভীবাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। 
বক্তারা বলেন শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যাযজ্ঞে দলীয় বিবেচনায় মাঠ প্রশাসন সাজিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রশমনে মাঠপর্যায়ের প্রশাসন বদলি কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। যখন-যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন; তখন সেখানেই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পোষ্য ক্যাডার হিসেবে আওয়ামী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। অবিলম্বে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদ থেকে তাকে প্রত্যাহার করে গণহত্যায় সহযোগিতা করার অপরাধে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখ সড়কে খুলনাবাসীর পক্ষে অনুষ্ঠিত বিশাল মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছেন নাগরিক নেতৃবৃন্দ। খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য সচিব এড. নূরুল হাসান রুবার সভাপতিত্বে এড. মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে খুলনার নাগরিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
বক্তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি খুলনার বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সরাসরি কলকাতার উপ-হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাথে গভীর ভাবে সম্পৃক্ত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহস্রাধিক জীবনের বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ছাত্রলীগের চিহ্নিত ক্যাডার, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট এবং একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার হাতে ছেড়ে দেয়া যায় না। 
বক্তারা অবিলম্বে খুলনা থেকে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখি করে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে সহায়তা করার অপরাধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে খুলনাবাসী। মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের মতো কর্মকর্তাদের হাতে খুলনা তথা বাংলাদেশ নিরাপদ নয় বলে দাবি করেছেন বক্তারা।
প্রসঙ্গত, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে গত ৯ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে খুলনার জেলা প্রশাসক দায়িত্ব দেয় সরকার। এর আগে গত ২০ আগস্ট খুলনার সর্বশেষ জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিনকে প্রত্যাহার করে বদলি করা হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ