সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী মোড়লের নেতৃত্বে অবৈধভাবে মৎস্য ঘেরের জমি দখল থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে  লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাবুর ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের মৃত রহমাতুল­্যাহ গাজীর ছেলে গাজী আব্দুস সোবাহান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ৯নং বুড়িগোয়ালিনী পোড়াকাটলা মৌজায় প্রকৃত জমির মালিকের নিকট থেকে স্ব-নামে গত ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ০৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদে লীজ ডিড গ্রহণ করে নিজস্ব অর্থায়নে ভেড়ীবাঁধ, চুন, সার দিয়ে বাগদা চিংড়িসহ সাদা বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্যাদি ছাড়িয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘের পরিচালনা করছিলাম। 
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় এলাকার প্রভাবশালী ও আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচিতি বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের মৃত লালু মোড়লের ছেলে মোঃ লিয়াকত আলী মোড়ল ও ছাকাত জমাদারের ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ জমাদ্দারসহ আরো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় আধিপত্য বিস্তার করিয়া পেশী শক্তির দাপট দেখাইয়া ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে অন্যায় ভাবে রাত্রারাত্রি মৎস্য ঘেরে ভেকু দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে আনুমানিক ২১/২২ বিঘা সম্পত্তি দখল করে নেয়। এ সময় জাপান কোম্পানির কর্মরত মহিলাকর্মী ৪০/৫০ জন ভেকুর ধারে বসিয়ে রেখে কাজ চলমান রাখে। ঐ সময় আমরা বাধা দিলে প্রকাশ্যে বলে, তাদের কাজে বাধা দিলে ভেকু দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলিবে মর্মে হুমকি দেয়। আমি জানমাল রক্ষার্থে নিরুপায় হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে শ্যামনগর থানার কর্তব্যরত অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করেন এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা দেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে পুনরায় তাহারা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে রাতারাতি ঘেরের আংশিক জায়গা দখল করে নেয়। তাতে আমার আনুমানিক ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবৈধ দখলদারের হাত থেকে আমার মৎস্য ঘেরের আংশিক জমি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আব্দুস সোবহান।