খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

আশাশুনিতে জবর দখলকারী আ’লীগ নেতাদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি |
১১:২৫ পি.এম | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪


সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজায় ক্রয়কৃত জমি বৈধ ভোগজাতকারীদের উচ্ছেদ করে জবর দখলকারী চক্রের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে আশাশুনি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
শ্রীউলা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, তার ভাই ইয়াছিন আলি ও আব্দুল হাকিম সরদার কোবলা দলিল মূলে আব্বাছ আলী দিং-এর নিকট থেকে লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজার এস এ ২৯৪ নং খতিয়ানে সাবেক ১১০০ ও হাল ২৫৮৮ নং দাগে এবং খালের ৮০১ নং দাগে ০.৪৮ একর জমি ১৯৮৮ সালে ক্রয় করেন। শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বত্ত¡বান ও ভোগদখলিকার থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালে মাড়িয়ালা গ্রামের ইবাদুল গাজীর ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা ইনছান আলী, আমির হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে শামিমুজ্জামান পলাশ, আবুল কালাম মোড়ল, আবু হাসান মোড়ল, মফিজুল মোড়ল ও ওহিদুল­াহ কামাল দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে বেআইনি ভাবে তাদের সম্পত্তি জবর দখল করে নেয় এবং সেখানে বালু ভরাট দিয়ে আওয়ামীলীগ অফিস, মুক্তিযোদ্ধা অফিস ও আফম রুহুল হক পাঠাগার স্থাপন করে। তাছাড়া জমির উপরে থাকা ৩টি দোকান ঘর ও ২০ হাজার ইট ট্রলিতে করে নিয়ে আত্মসাৎ করে। জমিজমা রক্ষার্থে কাজ করলে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। বাধ্য হয়ে আমি ও আমার ভাই আঃ হাকিম আমলি আদালতে সিআর ৯২/২০১৬ নং মামলা দায়ের করি। যা চলমান রয়েছে। মামলা দায়ের করায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং দলীয় দাপট দেখিয়ে ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল আসামিরা আমার মেঝ ভাই আঃ হাকিমকে হত্যার উদ্দেশ্য পিঠের বাম পাশে শাবল দ্বারা আঘাত করলে পাজরের হাড় কেটে ফুসফুস ছিদ্র হয়ে যায়। এ ঘটনায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিআর ৯২/২০১৮নং মামলা দায়ের করি। এ মামলাটিও বিচারাধীন আছে।  
আমাদের ঐ সম্পত্তির সমুদয় কাগজপত্র বৈধ থাকায় এবং জবরদখলকারীদের দখল অবৈধ হওয়ায় ২০২১ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ দখল উচ্ছেদের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে তারা পুনরায় সেখানে জবর দখল নিয়ে দু’টি ঘর নির্মাণ করে বহাল তবিয়তে রামরাজত্ব কায়েম করতে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে ভূমি দস্যু ইনছান ও তার বাহিনীর অবৈধ দখলদারিত্ব, ত্রাসের রাজত্বের পাশাপাশি মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র প্রতারোধ এবং আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। 
এ সময় ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম-আহবায়ক হাবিবুর রহমান ও নূর ইসলাম সরদার, যুবদল আহবায়কের ভাই আঃ হাকিম ও আব্দুল­াহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ