খুলনা | শুক্রবার | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১২ আশ্বিন ১৪৩১

রাষ্ট্র সংস্কারে ৬ কমিশন ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই

|
০১:২৩ এ.এম | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪


অন্তবর্তী সরকারের শক্তি সু-সংহত করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে উপদেষ্টাদের। এখন যোগ হয়েছে ছয় বিভাগে ছয় কমিশন প্রধানের নাম। সংস্কার সফল না হলে রাষ্ট্র মেরামতের কাজ অসম্পূর্ণ থাকবে। এতে কাক্সিক্ষত নির্বাচন, নতুন সরকার গঠন এবং স্বৈরশাসন পতনের আন্দোলনের ফসল ঘরে উঠবে না। সুতরাং সংস্কার কমিশন ব্যর্থ হলে আর অবশিষ্ট কিছু থাকবে না।
বস্তুত: ছাত্র জনতার আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করা হবে এই ৬ কমিশনের মাধ্যমে। আগামী ১ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ কমিশনগুলো কাজ শুরু করবে। সরকারের দেয়া টার্মস এন্ড রেফারেন্সের ভিত্তিতে কাজ শুরু করার তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা আছে। গত বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মাদ ইউনুস বলেন, তারা সংস্কার চান, সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুন মাত্রা শুরু করতে চান। এ জন্যই ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের কাজ পরিচালনায় বিষয় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ৬ বিশিষ্ট নাগরিককে কমিশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জাতি আশা করছে অনুরাগ বিরাগের বশঃবর্তী  না হয়ে তাদের অভিজ্ঞতা, মেধা মননকে ঢেলে দিয়ে ছাত্র জনতার ত্যাগের মহিমাকে সমুন্নত রেখে সকল সংস্কারের কাজ সফল হবে।
ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কিছুু জাতীয় ভিত্তিক সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ও সু-শাসন প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। এই দাবি পূরণে নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব পালন করবেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। বিচার বিভাগ সংস্কারের কমিশন প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। দুর্নীতি দমনের কমিশন প্রধান টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামান। জন প্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। সংবিধান সংস্কারের কমিশন প্রধান শাহদীন মালিক। এই হাফ ডজন ব্যক্তির দায়িত্ব পালনের দিকে জাতি তাকিয়ে আছে।
নির্বাচন, সংবিধান, বিচার, দুর্নীতিদমন, সিভিল, পুলিশ এ ছয়টি বিভাগে ঠিকমত মেরামত হলে মনে হয় তেমন কিছু আর বাকি থাকবে না। অবশিষ্ট বাকিটুকু নির্বাচিত সরকার করতে পারবে। পুলিশ প্রশাসন সংস্কারের প্রধান সাবেক সচিব সরফরাজ হোসেন বলেছেন, আমরা সবার সাথে আলোচনা করেই ছাত্র জনতার আকাক্সক্ষা যাতে প্রতিফলিত হয় তা মাথায় রেখেই কাজ করবো। 
কমিশনের সুপারিশগুলো অন্তবর্তী সরকার বাস্তবায়ন কতে পারবে। তবে আইনের কোনো পরিবর্তন করতে হলে সংসদের প্রয়োজন হবে। কিন্তু সংস্কার কার্যক্রম করতে নানা ধরণের অধ্যাদেশ জারি করে তা সরকারই করতে পারবে। তবে আইন সংক্রান্ত কাজ করতে সংসদের প্রয়োজন হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ