খুলনা | শনিবার | ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

বাগেরহাটে মতবিনিময় সভায় ওয়াহিদ উজ্জামান

বিগত ১৬ বছর খুলনা বিভাগ বৈষম্যের শিকার হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট |
০২:১৬ এ.এম | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মোঃ ওয়াহিদ উজ্জামান বলেছেন, একটা দেশকে সুবিধা দিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এসব মূলত প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি রাখতে করা হয়েছে। আর বিগত ১৬ বছর ধরে খুলনা বিভাগ বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সেই বৈষম্যকে নিরসন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। খুলনা বিভাগ ও বাগেরহাট জেলাকে আধুনিক-উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহŸান জানান এই ছাত্র নেতা। 
মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকার সম্পর্কে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার, এই সরকার গনআকাঙ্খার সরকার। কেউ যদি এই সরকারকে অনির্বাচিত সরকার বলে তাহলে  তিনি ভুল করবেন। বিগত ১৬ বছরের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে এই সরকারের জন্ম হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে এই সরকার জনগণের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন করবে। এই সরকার তার কাজের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে একটি কল্যান রাষ্ট্র গঠন করবে। এজন্য এই সরকারকে সময় দিতে হবে, এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সরকারকে সহযোগিতার আহŸান জানান তিনি।
বাগেরহাটের ছাত্র-জনতার আয়োজনে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকরাম হোসাইন রাজ, আশরেফা খাতুন, জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু বকর খান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারহানা ফারিনা, ঢাকা কলেজের মুইনুল ইসলাম, আমান উল­াহ আল ফারাবি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বজিৎ দত্ত, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আফিয়া জান্নাত অনন্যা, শিক্ষার্থী তৌহিদ ইসলাম শুভ, মোঃ বাবু খান, জান্নাত প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় বাগেরহাটের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জেলার বিভিন্ন সমস্যা ও দাবির কথা তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায়, সন্তান হারানোর বেদনা বর্ননা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ হওয়া মোল­াহাটের বিপ্লব শেখের বাবা পার  ভেজ শেখ ও মা ইলিজা বেগম। শহিদ বাবা পারভেজ শেখ বলেন, সে আমার বড় ছেলে। গার্মেন্টস-এ চাকুরি করেও প্রতিমাসে বাড়িতে কিছু টাকা দিতো। এখন আমার সংসারের হাল ধরবে কে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মা ইলিজা বেগম বলেন, আমার চার সন্তান। বড় সন্তান আন্দোলনে গিয়ে মারা গেছে। বড় সন্তান হারানোর যে কষ্ট এটা কাউকেত বোঝানো যাবে না। আমি মা হিসেবে সন্তানের খুনিদের বিচার চাই।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ