খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

লেবাননে হাজার হাজার পেজার বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত ৩০০০

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৩ পি.এম | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪


লেবাননজুড়ে প্রায় পাঁচ হাজার পেজার বিস্ফোরণে শিশুসহ অন্তত নয়জন নিহত এবং তিন হাজার জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর আট যোদ্ধা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, এই বিস্ফোরণ হয়েছে লেবাবননজুড়ে, বিশেষত দক্ষিণ লেবাবননের হিজবুল্লাহ ঘাঁটিগুলোতে।

পেজার একধরনের ছোট যন্ত্র। এটি সাধারণত হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করেন।

হিজবুল্লাহর দাবি, কয়েকমাস আগে আমদানি করা পেজারগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ বিস্ফোরক স্থাপন করেছিল।

লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেছেন, বিস্ফোরণে নয়জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে আট বছর বয়সী এক মেয়েশিশু রয়েছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ৮০০ জন। এদের মধ্যে দুশো জনের অবস্থা গুরুতর। আহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মুখমণ্ডল, হাত ও পাকস্থলীতে আঘাত পেয়েছেন।

ইরানের বার্তা সংস্থা মেহর জানিয়েছে, পেজার বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানিও রয়েছেন।

লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে যে পেজারগুলি তাইওয়ান-ভিত্তিক গোল্ড অ্যাপোলো থেকে আমদানি করেছে তাঁরা। তবে কোম্পানিটি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা ডিভাইসগুলি তৈরি করেনি। বিএসি নামক একটি কোম্পানি দ্বারা ডিভাইসগুলো তৈরি করানো হয়েছিল।

গোল্ড অ্যাপোলোর প্রতিষ্ঠাতা হু চিং-কুয়াং বলেছেন, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত পেজারগুলি ইউরোপের একটি কোম্পানি দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। তবে কোম্পানিটির নাম তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি।

তিনি জানান, “পণ্যটি আমাদের ছিল না। শুধুমাত্র এটিতে আমাদের ব্র্যান্ড ছিল।"

এদিকে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ এসব বিস্ফোরণের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে। সংগঠনটি বলেছে, এ জন্য ইসরায়েলকে ন্যায্য শাস্তি পেতে হবে। তবে ইসরাইল এ বিষয়ে ত্ৎাক্ষণিক কোন মন্তব্য করেনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, পেজার বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার জন্য কারা দায়ী, তা-ও তাঁরা জানেন না।

এদিকে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নসরুল্লাহ কয়েক মাস আগে তাঁর যোদ্ধাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিলেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের হাতে এসব স্মার্টফোনে অনুপ্রবেশের প্রযুক্তি রয়েছে। এরপর হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা যোগাযোগের জন্য পেজার প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন এসব ডিভাইসও বাইরে থেকে কোনো পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে বলেই মনে হচ্ছে।

গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালায়। একইদিন ইসরাইল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। ইসরাইল একইসাথে লেবাননে  হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও হামলা শুরু করে। সম্প্রতি ইসরাইল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইসহ গাজা যুদ্ধকে আরো বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ