খুলনা | শুক্রবার | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১২ আশ্বিন ১৪৩১

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নজর দিতে হবে

|
১২:১৯ এ.এম | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪


বন্যা উত্তর পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের সাথে সাথে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের দিকে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। ভাবতে হবে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সামনের দিনগুলোতে সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে না পড়ে। সংস্কার কমিশনের সংস্কারের সফলতা অনেকটা নির্ভর করে দেশে খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই। মনে রাখতে হবে মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রথমটিই হচ্ছে খাদ্য। স¤প্রতি দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হওয়ায় বিপুল পরিমাণ খাদ্য শষ্য বিনষ্ট হয়েছে। রবি মৌসুমে দরকারি সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক খাদ্য সেবা বিভাগ (ইউএসডিএ) গ্রেইন এন্ড আপডেট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এবার বন্যায় দেশের ২৪টি জেলায় ৩ লাখ হেক্টর জমির আউশ ও আমন আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে চাল উৎপাদনে। আউশ উৎপাদনে ৩ লাখ টন ও আমন উৎপাদনে ৪ লাখ টন চাল উৎপাদন কম হতে পারে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ লাখ টন খাদ্য আমদানি করা লাগতে পারে।
মার্কিন কৃষি বিভাগ আরও তথ্য দিয়েছে গত অর্থ বছরে আমন চাল উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৪৬ লাখ টন, চলতি অর্থ বছরে উৎপাদন নেমে আসবে ১ কোটি ৪২ লাখ টনে। আউশ উৎপাদন হয়েছিল ২৪ লাখ টন, এবার তা নেমে আসতে পারে ২১ লাখ টনে।
এ ঘাটতি মেটাতে আগামী বোরো মৌসুমের দিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এলসি সমস্যার কারণে বিপত্তি ঘটেছে। তাছাড়া ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ায় খাদ্য নিরাপত্তা বলা যায় হুমকির মুখে পড়েছে।
মূলত গ্যাস সরবরাহ করতে না পারায় দেশের সার কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী বোরো মৌসুমে ইউরিয়া সার সংকট দেখা দেবে। গত সরকার গোষ্ঠী স্বার্থে বিদেশ থেকে তরলিকৃত গ্যাস আমদানি করত চড়া দামে। ফলে গ্যাস ভিত্তিক কল-কারখানার উৎপাদান ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি সার কারখানা ছাড়াও অনেক পোষাক শিল্প বন্ধ হয়ে পড়েছে।
দেশের মোট ৫টি সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধে দৈনিক ৭ লাখ টন ইউরিয়ার ঘাটতি পড়ছে। দেশে যে সারের মজুদ রয়েছে তা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। বর্তমানে দেশে ৪ লাখ ৩৫ হাজার টন ইউরিয়া মজুদ রয়েছে যা এ মৌসুমের চাহিদা পূরণ হলেও আগামী মৌসুমের কি হবে? তাই খাদ্য শষ্য আমদানির প্রস্তুতির সাথে কৃষককে সার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ