খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

দুই শিবির নেতার বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড

কালীগঞ্জে ৭ পুলিশ কর্মকর্তা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, ২ মেয়রসহ ১২ জনের নামে মামলা

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি |
০২:০১ এ.এম | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দুই শিবির নেতার বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের অভিযোগে সাবেক ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার, অতিঃ পুলিশ সুপার, ওসিসহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সাবেক কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুই মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের নামে আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালীগঞ্জ আদালতে মামলা দু’টি দায়ের করেন শিবির নেতা নিহত আবুজার গিফারীর পিতা কালীগঞ্জ পৌর এলাকার চাপালী গ্রামের নুর ইসলাম এবং অপরটি নিহত শামীম মাহমুদের পিতা বাকুলিয়া গ্রামের রুহুল আমিন। 
উলে­¬খ্য, ২০১৬ সালে ওই দুই শিবির নেতাকে সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণপূর্বক নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। দু’টি মামলার আসামিরা হলেন, ঝিনাইদহ সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অতিরক্তি পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ. কালীগঞ্জ থানার সাবেক ওসি আনোয়ার হোসেন, এস আই নিরব হোসেন, আশরাফুল আলম, নাসির হোসেন, আব্দুল গাফ্ফার, ইমরান হোসেন, সাবেক কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ও মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, সাবেক এমপির পি এস আব্দুর রউফ, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, আলী হোসেন অপু ও মহিদুল ইসলাম মন্টু এবং নিমতলা বাজারের রবিউল হাজি। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। 
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পৌর এলাকার চাপালী গ্রামের আবু জার গিফারী ইসলামী ছাত্র শিবিরের কালীগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি ও বাকুলিয়া গ্রামের শামিম মাহমুদ শিবিরের দায়িত্বশীল কর্মী ছিলেন। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ দুপুরে আবুজার গিফারী নামাজ পড়ে ফেরার পথে তার বাড়ির সামনে থেকেই দুই  মোটরসাইকেলে ৪ জন সাদা পোশাকধারী পুলিশ পরিচয়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানা ও পুলিশের অন্যান্য দপ্তরে যোগাযোগ করেও তার সন্ধান পায়নি। ঘটনার ২৫ দিন পর ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ভোরে যশোরের হৈবৎপুর ইউনিয়নের লাউখালী বিরামপুকুর শ্মশানঘাটে কথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে মাথায় গুলি লাগা অবস্থায় গিফারীর লাশ মেলে। অপরজন বাকুলিয়া গ্রামের শামিম হোসেনকেও একই দিনে কালীগঞ্জ সরকারি এম ইউ কলেজের পূর্ব পাশের গেট থেকে অপহরণ হয়েছিল। তাকেও একই দিনে একই স্থান থেকে লাশ পাওয়া যায়। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ অপহরণের পর তারা স্থানীয় আ’লীগের সাংসদের সাথে যোগাযোগ করেও সন্তানদের সন্ধান মেলাতে পারেনি। ওই সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের সদস্যরা তাদের সন্তানদের অপহরণপূর্বক অনেক নির্যাতন চালিয়েছিল। মামলায় আসামিদের বিচার চান ভুক্তভোগী পরিবারদ্বয়। আদালত ফৌজদারী কার্ষবিধি অনুযায়ী ১৫৬(৩) ধারায় কালীগঞ্জ থানাকে মামলা দু’টি গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ