খুলনা | শুক্রবার | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১২ আশ্বিন ১৪৩১

পাহাড়ী বাঙ্গালী নয়, ৩ পার্বত্য জেলায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে

|
১২:১৩ এ.এম | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪


দেশের বর্তমান চলমান ক্রান্তিলগ্নে জাতিগত বিরোধ নয়, তিন পার্বত্য জেলায় যেকোনো মূল্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। পাহাড়ী বাঙালী বিরোধ কোনো নতুন বিষয় নয়। ৭১’এ দেশ স্বাধীনের পরও বিরোধ একবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। পাহাড়ী জনগোষ্ঠী নাগরিক পরিচয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের বিরোধীতা করে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তনের ফলে সংকটের আপত উপশম হলেও চূড়ান্ত মীমাংসা হয়েছে প্রমাণিত হয়নি। জাতিসত্বার পরিচয়ে তিন পার্বত্য জনগোষ্ঠী নৃতাত্তি¡কভাবে ভিন্নতর হলেও বাংলাদেশী পরিচয়ে সে ভেদাভেদ দূর হওয়া অসম্ভব নয়।
তা সত্বেও বিরোধের স্থায়ী সমাধানে পাহাড়ি বাঙ্গালী সংকট নিরসনে পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রশ্নে শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পরও পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি। এ কথা দুঃখজনক হলেও সত্য যে পাহাড়ী জনগোষ্ঠী বাঙালী জনগোষ্ঠীর সাথে পাশাপাশি বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। সমস্যাটা কেবল নৃতাত্তি¡ক নয় মনস্তাত্তি¡কও।
পাহাড়ী বাঙ্গালী সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ৪ জন নিহত, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ জুম ছাত্র জনতার ব্যানারে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দেয়। এই কর্মসূচিকে বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ী ছাত্র আন্দোলন সমর্থন দেয়। পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক দল ইউডিএফ অবরোধে সমর্থন জানায়।
গত শুক্রবার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটিতে জেলা সদরে সংঘটিত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে রাঙ্গামাটি জিমনেসিয়াম এলাকায় সমবেত হয়। ৮০০-১০০০ উত্তেজিত জনতা একটা মিছিল বের করে বনরূপা এলাকার দিকে অগ্রসর হয়। বনরূপা বাজার, দোকানপাঠ ও অনেক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারি করতে হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিন পার্বত্য জেলায় দাঙ্গার রূপ নিতে পারে বলে আইএসপিআর সতর্ক করে।
এর আগে খাগড়াছড়ি সদরে এক বাঙ্গালী যুবককে হত্যার ঘটনার জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়। হত্যার প্রতিবাদে বাঙালীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পাহাড়ী-বাঙালীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দিঘীনালা বাসস্ট্যান্ডে ও লরমা স্কয়ার এলাকায় ১০২টি দোকান ভস্মিভূত হয় যার ভেতর পাহাড়ীদের ৭৮টি, বাঙালীদের ২৪টি।
এ ঘটনা দেশকে যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে বা এ সমস্ত কর্মকান্ড কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। সন্ত্রসীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে শান্তিচুক্তির অসাংবিধানিক ধারা বাতিল, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও নাগরিক জীবনে নিরাপত্তা বিধানে সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ