খুলনা | রবিবার | ২৯ জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

প্রেমের বিয়ের ৯ মাস না যেতেই

মোংলায় ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

মোংলা প্রতিনিধি |
১২:২৮ এ.এম | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪


প্রেমের বিয়ের ৯ মাসের মাথায় মোংলা পৌর শহরের ভাড়া বাসা থেকে আনিকা (২৩) নামে এক গৃহবধূ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ ঘরের খাটের উপর কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার পর পরই ঘরের দরজায় সিকল দিয়ে স্বামী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূ আনিকা ও স্বামী তুফান একই এলাকার বাসিন্দা। প্রেম করে পরিবারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ৯ মাস আগে গোপনে ঢাকায় গিয়ে বিয়ে করে তারা। ঢাকা থেকে ৮ মাস পূর্বে মোংলা এসে পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডস্থ হালিম সরদারের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন আনিকা ও মেহেদী তুফান দম্পতি। তবে এদের উভয়ের পূর্বে আরো একটি বিয়ে থাকায় প্রায়ই ঝগড়া ও মারামারি হতো দু’জনের মধ্যে। আনিকার আগের সংসারে ৫ বছরের তাসনিম নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে তুফানের আগের সংসারে ছেলে-মেয়ে আছে কিনা তা জানা যায়নি। 
সোমবার সকালে আনিকা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ফোনে তার মামাকে জানায় স্বামী তুফান শেখ। মামা দ্রুত বাড়িতে এসে ঘরের বাইরে থেকে দরজার সেকল খুলে ভাগ্নিকে ঘাটের উপর মৃত অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে মোংলা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে খবর দেয়া হয়। নিহত আনিকা খুলনার দৌলতপুর দারোগার পুকুরপাড়ের পাবলা এলাকার আনিসুর রহমানের মেয়ে এবং স্বামী তুফান শেখ একই এলাকার কামাল শেখের ছেলে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা, সোমবার রাতের যে কোন সময় স্ত্রী আনিকাকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী তুফান। 
আনিকার মা জানায়, তুফানের অন্য বিয়ের তথ্য গোপন রেখে আমার মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গোপনে বিয়ে করেছে। আগের বিয়ের কথা জানাজানি হলে প্রায়ই দু’জনের মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ হতো। আমাকেও ফোন করে বহুবার তুফান মেয়েকে মেরে ফেলবে বলেছিল। গত সপ্তাহে আমার মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, আর আজ জীবনে মেরে ফেললো। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।  
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, ৮ মাস আগে গোপনে বাসা ভাড়া করে বসবাস করতেন এ দম্পতি। তবে তাদের উভয়ের মধ্যে পুর্বের বিয়ে নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া ফ্যাসাদ হতো বলে আমরা আনিকার স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। প্রাথমিক ধারণা আত্মহত্যা নয়, রাতের যে কোন সময় হত্যা করা হয়েছে, তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে হত্যা না আত্মহত্যা তার আসল ঘটনা জানা যাবে। স্বামী তুফান পলাতক, তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ