খুলনা | রবিবার | ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

জাতিসংঘে ইউনূস-বাইডেন বৈঠক বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি

|
১২:০৮ এ.এম | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪


কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে খবরটি আগেই প্রকাশিত হয়েছিল দেশের গণমাধ্যমে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ২৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল এ কারণেই যে গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের সঙ্গে এমন বৈঠক কখনো হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান এবং কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন না। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছিলেন, এটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমর্থনের প্রতিফলন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারকে ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যেকোনো সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। দেশের শীর্ষ সব গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যে ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতেই দুই রাষ্ট্রনায়কের আন্তরিকতা স্পষ্ট হয়েছে।
ওদিকে মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের বৈঠকের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস নিউইয়র্কে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের মঞ্চে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা, মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজ সিং রূপণের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি। প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সচিবালয়ে অধিবেশনের সাইডলাইনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ড. ইউনূস।
জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালে নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। তাঁদের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য ছিল দুই দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার অংশীদারি দীর্ঘদিনের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পাশে থাকার যে আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, সেটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। যেমনটি প্রত্যাশা করা গিয়েছিল যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস-বাইডেন বৈঠক থেকে ভবিষ্যতের পথরেখা তৈরি হবে-সে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি অনেক বড় প্রাপ্তি।

্রিন্ট

আরও সংবদ