খুলনা | রবিবার | ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ মিশন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন নিউইয়র্কে

|
১২:০৭ এ.এম | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪


বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন নিউইয়র্কের দিকে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ড. ইউনূসের মিশন কতটা সফলতা বয়ে আনবে দেশবাসী এখন সেদিকে তাকিয়ে আছে। অধিবেশনে বক্তব্য পেশ করেছেন সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানরা। এ বছরের বিতর্কের প্রতিপাদ্য বিষয় : ‘কাউকে পিছনে ফেলে নয়’’- বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতি সাধনে এক সংগে কাজ করা। ১৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা তাই জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে। প্রধান উপদেষ্টা অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংগে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। উলে­খ্য অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংগে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার দ্বি-পাক্ষীক বৈঠকের তেমন নজির নেই। বাইডেন ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে বুকে টেনে নেন। হাতে হাত রেখে বলেন, বাংলাদেশের সংস্কারের বাস্তব রূপ দিতে সব ধরণের সহযোগিতা করবে হোয়াইট হাউস। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি থাকবে পূর্ণ সমর্থন। নির্ধারিত সময় ১৫ মিনিটের জায়গায় বৈঠকটি চলে ৩০ মিনিট।
প্রধান উপদেষ্টা বিগত সরকারের আমলে নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা এবং দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের অবদানের কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জানান। জো বাইডেনও যে কোনো সাহায্যে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।  মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন-শিক্ষার্থীরা যদি  দেশের জন্য এতো ত্যাগ স্বীকার করতে পারে তাহলে তাদেরও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন করা উচিত। বৈঠকে জুলাই বিপ্লবকালীন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়াল চিত্র ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ বাইডেনকে উপহার দেন। একাধিক মার্কিন কূটনীতিক বলেন দুই রাষ্ট্র প্রধানের এ সংক্ষিপ্ত প্রতীকী বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। বৈঠকে এটাই বার্তা দিচ্ছে যে, হোয়াইট হাউস বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের পর কানাডার রাষ্ট্র প্রধান ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকও যথেষ্ট গুরুত্ববহ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সংগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কের শীলতা কমাতে এ বৈঠক উষ্ণ বার্তাবরণ সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অধিবেশনে জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত হলেও সূদুর প্রসারী। সমাধানের সামর্থ্যরে চেয়ে দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে চ্যালেঞ্জ। সোজা কথায় সামর্থ্যরে চেয়ে চ্যালেঞ্জের দ্রুতি ও মাত্রা বেশি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিপ্লব উত্তর চ্যালেঞ্জ মোবাবেলায় জাতিসংঘের প্রধান উপদেষ্টার মিশন ইতিবাচক ভূমিকা রাখলেও সরকারের অনেক কাজ বিশেষ করে সংস্কারের কাজ সফল করতে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে। সবচেয়ে বড় শক্তি হল নতুন প্রজন্ম যারা এ বিপ্লব এনেছে তাদের প্রবল বাঁধভাঙ্গা ইচ্ছাশক্তি সরকারের কার্যক্রমকে দ্রুতি ও গতি সঞ্চার করবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ