খুলনা | শনিবার | ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ শুরুর আগে রাজনীতিকদের সঙ্গে বসবে সরকার

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৭ এ.এম | ০১ অক্টোবর ২০২৪

 
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব পাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। সে লক্ষ্যে ছয়টি কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটিগুলো আগামীকাল ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরুর কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যাচ্ছে। এর আগে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সফর সম্পর্কে জানাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমের জন্য ছয়টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব কমিটি কাজও শুরু করেছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এসব কমিটির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগেই আলোচনায় বসা দরকার। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের স্টেকহোল্ডার। আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে।

শফিকুল আলম জানান, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে। আলোচনা শেষে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে আলোচনায় ডাকা হবে কি না এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে।

এ সময় তিনি সম্প্রতি সেনাপ্রধানের দেওয়া ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন বিষয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, এটি সেনাপ্রধানের ব্যক্তিগত মত। এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে সেটা জনগণই ঠিক করবে বলে মনে করেন এই সাংবাদিক।

জাতিসংঘ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা টাইম ফ্রেম জানতে চাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত এবং জনগণসহ সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়েই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ