খুলনা | সোমবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬ পৌষ ১৪৩১

পেশাদার ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে

|
১২:২৬ এ.এম | ০৬ অক্টোবর ২০২৪


ঋণ এবং বকেয়ার ভারে এখন জর্জরিত বাংলাদেশ। দ্রব্যমূল্য লাগামছাড়া, ব্যাংকে টাকার সংকট, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। তবে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হওয়ার ফলে অভিজ্ঞ ও পেশাদার অর্থনীতিবিদরা দেশ পরিচালনার হাল ধরেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাকের গভর্ণর অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মুনসুর। সবাই যোগ্য, অভিজ্ঞ এবং শতভাগ পেশাদার। গণমনের প্রত্যাশা এদের নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।
এখন আর্থিক খাতে লোপাটের দেশে বড় দুইজনকে স্থবির করা গেছে। সালমান এফ রহমান গ্রেফতার এবং এস আলম আত্মগোপনে। তবে এস আলম গ্র“পের গ্রাস থেকে ৯টি ব্যাংককে মুক্ত করা হয়েছে। এ সমস্ত ব্যাংক থেকে ২ লক্ষ কোটি টাকা এবং ইসলামী ব্যাংকের অর্ধেক টাকা লুটপাট হয়েছে। সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে পাচার করা টাকা ফেরত আনতে, প্রয়োজনে দেশ বিদেশে তাদের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতি পোষাতে।
ঋণের ক্ষেত্রে নিয়ম নীতি এবং আইনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ঋণ নিয়ে ফেরত না দিলে তাকে নতুন ঋণ দেয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বিগত সরকারের সময়কালে এ নিয়ম না মেনে একের পর এক ভূয়া ঋণ দিয়েছে। লুটপাটকারীরাই যদি ব্যাংকের বোর্ডের কর্তা ব্যক্তি নীতি নির্ধারক হয় তবে যা হবার তাই হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ৪০ হাজার কোটি টাকা নতুন ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে সরবরাহ করে লোপাটের দ্বার খুলে দিয়েছিল। এতে ডলারের দাম ও দ্রব্যমূল্যও বেড়ে যায়।
আশার কথা হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ও ডেপুটি গভর্ণর পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বোর্ড পরিবর্তন করে দিয়েছে। এতে ব্যাংক খাতে আইনের শাসন ফিরে আসছে। গ্রাহকরাও আস্থা ফিরে পাচ্ছে। অল্প সময়ের ভেতর প্রবাসী আয় ও ব্যাংক লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। এক কোটি প্রবাসী ব্যাংকে টাকা পাঠানো নিয়মিত করলে প্রতিমাসে ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াবে। উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রফতানি বাণিজ্য বাড়ালে অর্থের প্রবাহ বাড়বে। ব্যাংকের লুটপাটের খবরে গ্রাহকরা ব্যাংকের টাকা তুলে নেয়, ফলে টাকার প্রবাহ না থাকায় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কিছু ব্যাংক টাকা দিতেও পারছিল না। আগস্ট বিপ্লবের পর তার পরিবর্তন এসেছে। বিপ্লবের পর ১ম মাসেই ব্যাংকে ফিরে এসেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। সময় এসেছে এখন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের।

্রিন্ট

আরও সংবদ