যশোরে পাসপোর্ট অফিসে প্রথম পরিচয়, এরপর বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা, শেষমেষ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করে আব্দুস সালাম ওরফে শামীম মন্ডল আদম ব্যবসায়ী। বিদেশে পাঠানোর পর ওই নারী জানতে পারেন তিনি গর্ভবতী। দেশে ফিরে শামীম মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। বাধ্য হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ওই নারী। ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম শামীমকে আটক আদালতে সোপর্দ করেছে। আটক শামীম মনিরামপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের নুর আলী বিশ্বাসের ছেলে শামীম মন্ডল (৪২)। বুধবার ভোর রাতে অভয়নগরের গোয়াখোলা থেকে তাকে আটক করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারী ও তার ভাই যশোর পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে আসেন। এ সময় দেখা হয় শামীমের সাথে। পরে শামীম তার ভাইকে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। ওই নারীকেও বিদেশে পাঠানোর কথা ছিলো। এর মাঝে গত ২৫ ফেব্র“য়ারি ওই নারীকে যশোরে ডাকে শামীম। পরে কৌশলে তাকে রেলস্টেশন রোডের নিঝুম হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপরও বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। 
পরে গত ৫ মে ওই নারীকে সৌদি পাঠিয়ে দেয় শামীম। কয়েকদিন পরে ওই নারী জানতে পারেন তার গর্ভে সন্তান এসেছে। পরে বিদেশে থেকেই যোগাযোগ করেন শামীমের সাথে। এ সময় শামীম ওই সন্তান নষ্ট করতে বলে। কিন্তু ওই নারী গর্ভের সন্তান নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন। এরপর শামীমকে বিয়ে করতে বলেন। কিন্তু শামীম বিয়ে না করে সন্তান নষ্ট করার জন্য নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানে থাকেন। একপর্যায় যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। বাধ্য হয়ে ওই নারী মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। ডিবি শামীমকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।  
ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, শামীম ঘটনার স্বীকার করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে মানুষকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে স্বিকার করেছেন। শামীমের বিরুদ্ধে চুরি মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।