খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

সংস্কারে ধীর গতি : সরকারকে এগুতে হবে সতর্ক দৃঢ় পদক্ষেপে

|
১২:০৪ এ.এম | ১৩ অক্টোবর ২০২৪


নির্বাচনী রোড ম্যাপ ও সংস্কারে ধীর গতি জনমনে কিছুটা হলেও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন এ সরকার বিপ্লবী সরকার নয়, সংস্কারবাদী সরকার। বিপ্লবী সরকার যা করতে পারে সংস্কারবাদী সরকারের পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার গণ আকাক্সক্ষার অনুকূলেই কাজ করছে। কিন্তু সরকারকে সংবিধানকে সামনে রেখে, নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করতে হচ্ছে। তারা তো সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছেন। যদিও তারা সংস্কার, উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা বলছেন। রাজনীতিকে স্বাভাবিক পথে এগুনোর চেষ্টা করছেন। তারপরও নানা বিতর্ক, সন্দেহ এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশ্ন জাগছে এ সরকার কি পারবে জাতির আশা আকাক্সক্ষাকে পূরণ করে নির্বাচনের মাধ্যমে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে? রাজনৈতিক দলগুলো কি ড. ইউনূস সরকারকে অনেক বছর সময় দেবে? আর সেটা দেওয়া কি সঙ্গত হবে? প্রশুগুলো গুরুত্ব পাওয়ার অনেক কারণ আছে। ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নিলেও ড. ইউনূস সরকরকে ব্যর্থ করতে দেশে-বিদেশের অনেক চেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ, আনসার, পোশাক শিল্পে, সংখ্যালঘু স¤প্রদায়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে ফ্যাসিবাদের অনুচরেরা সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে।
সরকারেরও সামনে অনেক বিপদ রয়েছে। জনমনেও সৃষ্টি হয়েছে এন্তার অভিযোগ। অভিযোগের সত্যতাও অনুপস্থিত নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি ঠেকাতে সরকারের সফলতা দৃশ্যমান নয়। বিগত দুই মাসে জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ টাস্কফোর্সও তেমন কিছু করতে পারছে না। আওয়ামী আমলে সিন্ডিকেটের সাথে তৎকালীন সরকারের আঁতাত ছিল বলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় নি। কিন্তু বর্তমান সরকার ব্যবস্থা নিতে পারছে না কেন? বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, গত মাসে মুদ্রাস্ফীতির বিপরীতে মজুরী বেড়েছে ৮ শতাংশ। যার অর্থ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আরো কমেছে। এ অবস্থায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা ও উন্নতি হয়েছে তা বলার সুযোগ নেই। পুলিশ প্রশাসনও আগের মত সক্রিয় নয়। নতুনভাবে পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠনে পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে। জনগণ তার কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের আলামত পাচ্ছে না। এ সরকারের ঘাড়ে স্বৈরাচারী প্রবক্তাদের নিঃশ্বাস পড়ছে। তাদের রাজনৈতিক পুনর্বাসনেরও কথা শোনা যাচ্ছে। সরকারকে এগুতে হবে অতি সতর্কতার সাথে দৃঢ় পদক্ষেপে।

্রিন্ট

আরও সংবদ