খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

যশোরে স্কুল শিক্ষার্থী অপহরণের একদিন পর উদ্ধার, আদালতে জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেক, যশোর |
১২:১৮ এ.এম | ১৩ অক্টোবর ২০২৪

 
যশোর শহরের বকচর হুশতলার মোড় থেকে স্কুল শিক্ষার্থী রুমাইয়া খাতুন (১৫) অপহরণের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। অপহরণের একদিন পর পুলিশ অপহৃতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে শনিবার আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
অপহরণের ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীর ভাই যশোর শহরের বকচর হুশতলা, কল্পতরু প্লট বাড়ির নং ৮৪৫ এর আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জালেক মিয়া মামলা করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়, শহরের বকচর (করিম পাম্পের পাশে কবর স্থান কলোনী পাড়া) এলাকর আতিয়ার রহমানের ছেলে নাফিজ রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে।
মামলায় উলে­খ করা, তার ছোট বোন যশোর নড়াইল রোডের ঝুমঝুমপুরসহ যশোর টেকনিক্যাল সরকারি স্কুল এন্ড কলেজে ৯ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। সে বাড়ি থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার করে। নাফিজ রহমান ও তার সহযোগি অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহায়তায় বাদির বোনকে তার স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় পথের মধ্যে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ফুসলাতো। বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতো। স্কুল শিক্ষার্থী নাফিজের খারাপ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করার হুমকিসহ ক্ষতি করার হুমকি দেয়। জালেক, নাফিজকে তার বোনের পিছু নিতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বোনকে ক্ষতি করার লক্ষে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এক পর্যায় বাদির বোন গত ৭ অক্টোবর স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। সেদিন বাড়িতে ফিরে না আসায় ঘটনার পরের দিন কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়। সাধারণ ডাইরী করার পর স্কুল শিক্ষার্থীকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় জানতে পারেন স্কুলে যাওয়ার সময় সকাল সাড়ে ৭ টায় বকচর হুশতলার মোড় যশোর খুলনা মহাসড়কে পৌঁছালে নাফিজ রহমানসহ তার সহযোগি অজ্ঞাতনামা আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদির বোনকে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাতনামা প্রাইভেট কারে উঠিয়ে চলে যায়। ঘটনার পর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় নাফিজ রহমানের মা ও তার পরিবারের লোকজনদের চাপ সৃষ্টি করলে বাদি তার বোনকে ৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৯ টার সময় ওই বাড়ি থেকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ