খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

রূপসা পাইকারি মৎস ব্যবসায়ী আড়ৎদার সমিতি দখলের চেষ্টার অভিযোগ আলম হাওলাদারের বিরুদ্ধে, থানায় জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:২৭ এ.এম | ১৩ অক্টোবর ২০২৪


খুলনার রূপসা পাইকারি মৎস ব্যবসায়ী আড়ৎদার সমিতি দখলের পাঁয়তারা করছেন মকবুল আলী হাওলাদারের ছেলে আলম হাওলাদার। তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় জিডি করেছেন সমিতির বর্তমান আহবায়ক মোঃ হায়দার আলী। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। 
জিডি ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে রূপসা পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী আড়ৎদার সমিতির সকল নেতৃবৃন্দ পলাতক ছিল। পরে গত ১৭ আগস্ট একটি সাধারণ সভার মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সর্বসম্মতিতে মোঃ হায়দার আলীকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও সেই সময় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও করা হয়েছিল। তবে তার কিছুদিন পরেই কমিটির হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারায় লিপ্ত হয় নব্য বিএনপি আলম হাওলাদার। বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে বিএনপি কর্মি পরিচয় দিয়ে সুবিধা ভোগ করার চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়। তবে নানা সময় তাকে আ’লীগ নেতাদের সাথে দেখা গেছে। বিভিন্ন সময় আ’লীগের সভা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, শহীদ ইকবাল বিথারসহ বেশ কিছু নেতার সাথে স্থিরচিত্রে দেখা যায় এই আলম হাওলাদারকে। রূপসা পাইকারি মৎস বাজারে তার ২টি ঘর ছিল। তবে তা বিক্রি করে দিয়েছেন সে। ফলে দীর্ঘদিন সে এই ব্যবসা ত্যাগ করে ছিলো শহরের বাইরে। তবে হঠাৎ করে শহরে ফিরে এসে নতুনভাবে পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করছেন এবং আবারো হয়রানিমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন হায়দার আলী। 
গত কয়েক বছর রূপসা পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী আড়ৎদার সমিতি লুটে খেয়েছে আওয়ামী দোসররা। এছাড়াও জানা যায়, আলম হাওলাদার ২০০৭ সালে মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেককে জেল হাজতে পাঠিয়ে নিজেই সমিতি দখল করেন। পরে ২০১২ সাল পর্যন্ত তার দখলে ছিল এই সমিতি। সদস্যদের কোনো হিসাব না দিয়েই লুটপাট হয়েছে লাখ-লাখ টাকা। 
রূপসা পাইকারি মৎস ব্যবসায়ী আড়ৎদার সমিতির বর্তমান আহবায়ক মোঃ হায়দার আলী বলেন, সদ্য আহবায়ক কমিটি হওয়ার পর থেকেই আলম হাওলাদার আমাদের পেছনে লেগে আছে। বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। সবশেষ গত ৯ অক্টোবর সকালে মাছ বাজারে এসে আমাকেসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়েছেন আলম হাওলাদার। এছাড়াও মারমুখি আচরণ ও জীবননাশের হুমকি দেন তিনি। আলম হাওলাদারের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক কর্মকান্ড থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

্রিন্ট

আরও সংবদ