খুলনা | শনিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১

টাকা না দিলে ফাইলে স্বাক্ষর করেন না ফকিরহাটের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাঈদা দিলরুবা

নিজস্ব প্রতিবেদক |
১১:৩২ পি.এম | ১৩ অক্টোবর ২০২৪


টাকা না দিলে ফাইল স্বাক্ষর করেননা ফকিরহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাঈদা দিলরুবা। এমন অভিযোগ করেছেন ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা ও মেম্বররা। 
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় স্বৈরশাসক হাসিনা সরকারের এমপি হেলাল উদ্দিনের বাগেরহাট জেলায় একমাত্র আস্থাভাজন ছিলেন ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ। পিআইও সাঈদা দিলরুবা আক্তার উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশের ছত্রছায়ায় থেকে বেপরোয়া দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ বছর যাবৎ ফকিরহাট উপজেলায় কর্মরত থাকার সুবাদে স্বপন দাশের সাথে বিশেষ সখ্যতা ছিল সাঈদা দিলরুবার। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বছরে বিপুল টাকা হাতিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন এ কর্মকর্তা। জনপ্রতিনিধিরা জানায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার পর বিলের জন্য অফিসে গেলে পিআইও সাঈদা দিলরুবা তার অফিস সহকারীদের প্রকল্প দেখতে পাঠাতেন। এরপর অফিসে এসে তার সহকারীরা বিভিন্ন অযুহাতে বিল ঘুরাতেন। বিলের জন্য বেশি চাপ দিলে সরাসরি বিলের ১৫% টাকা ভ্যাট আইটি ফাইল খরচ অযুহাতে অগ্রিম নিয়ে তারপর বিলে পিআইওর স্বাক্ষর করাতেন। এভাবে বছরের পর বছর প্রতি লাখে ১৫ হাজার টাকা ও প্রতি টন চাল গমে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে সহকারীদের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন এ কর্মকর্তা। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২নং লখপুর ইউনিয়নে কাবিখা ও কাবিটার ১০ টি প্রকল্প প্রায় ২০ লাখ টাকা ও টিআর প্রকল্পে আরো প্রায় ১০ লাখ টাকার কাজ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। তারা বলেন কর্মকর্তারা আমাদের এভাবে জিম্মি না করলে আমরা জনগণের জন্য আরো বেশি কাজ করতে পারি। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে পিআইও সাঈদা দিলরুবার দপ্তরে একাধিকবার গেলেও তিনি প্রকল্পের বিষয়ে কোন তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তবে তিনি বলেন বিগত সরকারের সময় আমার কিছু করার ছিল না। উপরের নির্দেশে সব কিছু করতে হয়েছে। পরে লখপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের দেয়া অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য সাঈদা দিলরুবার সাথে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

্রিন্ট

আরও সংবদ