খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

আনুপাতিক নির্বাচনে সংসদে সব মানুষের প্রতিনিধি থাকতে পারে

|
১১:৫৬ পি.এম | ১৪ অক্টোবর ২০২৪


জাতীয় সংসদে যদি সব দল বা মানুষের প্রতিনিধি থাকতে পারে তাহলে জাতি বিভাজনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। বিষয়টা নতুন হলেও সময়ের দাবি কি না বিবেচনায় আনতে হবে। এটা যেন তেন নির্বাচন হয়ে গেলে বা কোনো একটি দল ক্ষমতায় এলে বিপ্লব ও রক্ত ক্ষয়ের মাধ্যমে দেড় দশকের সরকার পতনের যে গণচেতনা মূল্যায়িত হবে তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। একটা প্রচন্ড গণবিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশী। কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণে সরকার কতটা সফল তা অদৃশ্য কোনো বিষয় নয়। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠি মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত সবাই হতাশার সাগরে পড়েছে। বাজারের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির লাগাম সরকার আয়ত্বে আনতে ব্যর্থ হয়ে জন দুর্ভোগকে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
এটা নিশ্চিত বিগত স্বৈরসরকারের অনুগামীরা এ সরকারকে স্থিতিশীল থাকতে দেবে না। এদের তৎপরতায় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ধর্মঘটের মাধ্যমে অস্থিরতা তৈরি করছে। প্রশাসনে থাকা অনুগামীরা বার্তা দিচ্ছে শিগগিরই সরকার বিদায় নিচ্ছে। সরকার পতনের চেয়ে তাদের কাছে বড় বিষয় হলো শান্তিপূর্ণভাবে সরকারকে চলতে দিলে গত সরকারের দুর্নীতি, অনিয়ম প্রকাশ্যে চলে এলে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলে তারা দ্রুত শাস্তির আওতায় পড়ে যাবে। প্রশাসনকে এ দুই মাসে তারা গতি সঞ্চার করতে বা ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারে নি। এ সময়কাল অল্প হলেও প্রশাসনের পরিস্থিতি এখন সন্তোষজনক নয়। সরকার পতনের পর এর দাবিদাবা অতীতে যা কখনো এক সঙ্গে আসে নি। যৌক্তিক থেকে অযৌক্তিক দাবির সংখ্যাই বেশী। দাবির দাপটে ড. ইউনূসের সরকার নাজেহাল।
বাংলাদেশের হাল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রায়ন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সরলীকরণের প্রয়োজনে সংসদ নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক হওয়ার। এতে সকল মানুষের প্রতিনিধি সংসদে থাকতে পারবে। অতীতের কথা ভুলে যেতে হবে। দেশের সিংহভাগ মানুষের আশা প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটতে সব দলের প্রতিনিধি থাকা জরুরি। বিগত সরকার কেবল নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে নি উন্নয়নের নামে দুর্নীতির রোড মডেলের দিকে নিয়ে গেছে। এ অবস্থার উত্তরণে দেশকে একটা কল্যাণ ও আদর্শ রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করতে, মনোনয়ন বাণিজ্য নির্মূলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আনুপাতিক এবং সংখ্যানুপাতিক হারে করাই হবে সময়ের প্রয়োজন মেটানো।

্রিন্ট

আরও সংবদ