খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের পশ্চাৎপদতাকে গুরুত্ব দিতে হবে

|
১২:২৫ এ.এম | ১৬ অক্টোবর ২০২৪


বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে পিছিয়ে পড়া দেশের ভাবমূর্তিকে ম্লান করেছে। বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ এ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের অবস্থানের যে চিত্র ফুটে উঠেছে তাকে গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। প্রতি বছর আয়ারল্যান্ড এবং জার্মান যৌথভাবে প্রকাশিত এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম। দেশ ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের এ বছরে স্কোর ১৯.৪। এই স্কোরের ভিত্তিতেই বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ৮৪তম। 
সূচকের ক্রমানুসারে বাংলাদেশ বর্তমানে মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা মোকাবেলা করে যাচ্ছে। সূচকে ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতার দিকটাকে বিবেচনায় আনা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য সূচকে বাংলাদেশের ৩ ধাপ অবনতি ঘটেছে। যা ক্ষুধা ও বৈষম্য বিরোধ বাংলাদেশ গঠনের চেতনার সাথে মোটেই সামঞ্জস্যশীল না। দেশে আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল নয়। তবুও এ পরিস্থিতিকে মেনে নেয়া যাবে না। ক্ষুধা, অপুষ্টি, দারিদ্রতাকে জয় করতে না পারলে আন্দোলন, পরিবর্তন, সংস্কার কোনো কিছু জন জীবনে ইতিবাচক ফল দিতে পারবে না। গত বছরও বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১৯। ১২৫টি দেশের মধ্যে তার অবস্থান ছিল ৮১তম। মোট কথা চলতি বছরের আগেও ক্ষুধা মেটানোর ক্ষেত্রে দেশ ক্রমশ উন্নতি করছিল। ২০০০ সালে আমাদের স্কোর ছিল ৩৩.৮। গত বছর তা দাঁড়িয়েছে ১৯এ। আর এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১৯.৪।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে কোন দেশের নাম শূন্য হলে ধরতে হবে সে দেশ ক্ষুধামুক্ত দেশ। স্কোর ১০০ হলে ধরে নেব ক্ষুধার মাত্রা সর্বোচ্চ। ক্ষুধা সূচকে ১০ থেকে ১৯.৯ এর ভেতর থাকলে সে দেশ মাঝারি মাত্রার ক্ষুধায় আক্রান্ত বিবেচিত হয়। এ কারণেই বাংলাদেশকে মাঝারি মাত্রায় ক্ষুধায় আক্রান্ত দেশ বিবেচিত হয়। একটা দেশের সূচকের মাধ্যমে সে দেশের স্বাস্থ্য পরিবেশ প্রতিবেশের চিত্রটি ফুটে বের হয়ে আসে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র দুঃখজনক। প্রতিবেশী দেশগুলোর অবস্থা ভালো তা নয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে কবে মুক্ত হবে তার ভরসা কে দেবে। তবে প্রতিবেশী দেশ নেপাল সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। নেপালের অবস্থান ৬৮তম এবং স্কোর ১৪.৭। শ্রীলঙ্কার ৫৬তম স্কোর ১১.৩, ভারতের অবস্থান ১০৫তম স্কোর ২৭.৩। পাকিস্তান ১০৯তম স্কোর ২৭.৯। আফগানিস্তান ১১৬তম স্কোর ৩০.৮।
সূচক অনুসারে বাংলাদেশের হাল চিত্র : জনসংখ্যার ১০.৯ শতাংশ অপুষ্টির শিকার, ২.৯ শতাংশ শিশু ৫ বছরের আগেই মারা যায়, ২৩.৬ শতাংশ অপুষ্টির জন্য স্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ১১ শতাংশ শিশুর ওজন বাড়ছে না শারীরিক বিকাশ নষ্ট হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অর্থনৈতিক সংকট ও নিম্নমানের খাদ্য আমাদের পিছিয়ে রেখেছে। টিকে থাকতে পরিস্থিতির উন্নতির বিকল্প নাই।

্রিন্ট

আরও সংবদ