খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে তছনছ করে দিতে হবে : জামায়াত আমির

খবর প্রতিবেদন |
০১:২২ এ.এম | ১৬ অক্টোবর ২০২৪


বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দুষ্ট সিন্ডিকেট পেঁয়াজ ৩০০ টাকা করেছিলো। এই দুষ্ট সিন্ডিকেট বাণিজ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমস্ত চেলা-চামুন্ডারা ছিলো। আমাদের সন্তানরা বলছে ৫ আগস্ট আমরা স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এখনও সেই বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়নি। এখনও সেই সিন্ডিকেট জাতির ঘাড়ে বসে আছে। এই সিন্ডিকেট ভেঙে তছনছ করে দিতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ট্যাঙ্কেরপাড়স্থ জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে এ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ মুবরাক হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাবেক আমীর কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, সাবেক নায়েবে আমীর কাজী মোঃ ইয়াকুব আলী, ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোঃ আতিকুল ইসলাম প্রমুখ। কর্মী সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা সদর ছাড়াও প্রত্যেক উপজেলার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন।
শফিকুর রহমান বলেন, এই সরকারের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের চিহ্নিত ধূসর তারা যেন কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে না থাকে। সরকারকে তারা ব্যর্থ করে দিবে। জনগণের স্বপ্নকে তারা নষ্ট করে দিবে।
গণঅভ্যুত্থানে শহিদ প্রত্যেক পরিবারে একটি করে চাকুরি দেয়ার আহŸান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আহতদেরকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরি দিতে হবে। এটা রাষ্ট্রের পবিত্র কর্তব্য তাদেরকে সম্মান দেখানো। এরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। এরা দুর্নীতি করবে না, ঘুষ খাবে না। তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক।
ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন একটা সমাজ গড়তে চাই যে সমাজের আদালত প্রাঙ্গনে একজন বিচার প্রার্থীকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হবে না। কোন বিচারক তার আসনে বসে আল­াহকে ছাড়া কোনো রাষ্ট্র শক্তিকে পরোয়া করবেন না। রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করবেন। আমরা শুনতে চাই না বিচারকরা আসনে বসে ঘুষ খায়।
আ’লীগ থেকে সাবধান থাকার আহŸান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমরা হিংসার রাজনীতি করবো না। ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন আ’লীগ ক্ষমতা থেকে গেলে পাঁচ লক্ষকে হত্যা করা হবে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থাণের পর পাঁচজনকেও হত্যা করা হয়নি। মব জাস্টিসের নামে হত্যাকান্ড ঘটেছে। এর প্রতিবাদ আমরা করেছি। তবে হত্যাকারিরাও আ’লীগের প্রেতাত্মা ছাত্রলীগ। ভাত খাইয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় জড়িত ছয়জনের পাঁচজন ছাত্রলীগ। খুনের নেশা থেকে তারা বের হয়ে আসতে পারেনি। জনগণকে তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। তাদের অন্তরে জ্বালাপোড়া শুরু হয়েছে। তারা অঘটন ঘটাতে চায়। তারা আনসার কান্ড, বয়স কান্ড, বিচারিক ক্যু করতে চেয়েছে। জনগণ ব্যর্থ করে দিয়েছে।
আ’লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, তারা ইসলামী চাদর গায়ে দিয়ে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে। হাতে নাতে ধরা পড়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতারা বিশেষ একটি ইসলামী সংগঠনের ব্যানারে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা এখন একটি বিশেষ পতাকা বহন করে। তারা বাংলাদেশকে দুনিয়ার সামনে একটি জঙ্গি, চরমপন্থী দেশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে চাচ্ছে। তবে জাতি সম্মিলতিভাবে তাদের এ অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দিবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ